পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w y দুঃখোদাধো মগ্নো ন পশ্যামি প্ৰতিক্রিয়াম। যদি যোন্যাঃ প্ৰমুচোহ হং তৎপ্ৰপদ্যে মহেশ্বরং । অশুভ ক্ষয়কৰ্ত্তারিং ফলমুক্তিপ্ৰদায়কং। যদি যোন্যাঃ প্ৰমুঞ্চামি ধায়ে ব্ৰহ্ম সনাতনম | অথ যোনিদ্বারং সম্প্রাপ্তে যন্ত্রেণা পীড্যমানো মহত দুঃখেন জাত মাত্ৰস্তু বৈষ্ণবেন বায়ুনা সংস্পষ্টস্তদা ন স্মরতি জন্ম মরণানি ন চ কৰ্ম্ম শুভাশুভং বিন্দতি । এই দেহকে সপ্তধাতু বলে। পুরুষ শুক্ল, কৃষ্ণ, ধূম, পািত, কপিল ও পাণ্ডুর, এই সাত প্রকার বর্ণবিশিষ্ট বস্তু আহার করে । ইতারা পরস্পর অনুকূল-গুণ সম্পন্ন বলিয়া রসাদি ষড়বিধরপে পরিণত হয়। রস সমস্ত ধাতুর মূল কিন্তু ধাতু নহে। এই রস হইতে রক্ত, রক্ত হইতে মাংস, মাংস হইতে মেদ, মেদ শুক্র হয় । যথাকলে যথারীতি শুক্র ও শোণিতের সংযোগ হইলে গর্ভের সঞ্চার হয় । পূর্বোক্ত ধাতু সকল হৃদয়ে অবস্থিত আছে এবং হৃদয়দেশে অন্তরাগ্নি বিদ্যমান আছে । সেই অগ্নিস্থানে পিত্ত এবং পিত্তস্থানে বায়ু বিদ্যমান আছে, কেননা বায়ু ভিন্ন অগ্নির প্রবৃত্তি হইতে পারে না ; এই বায়ু হইতে প্রাজাপত্য ক্ৰম অনুসারে হসন্দয় উৎপন্ন হয় । অর্থাৎ যেরূপ প্ৰজাপতি আত্মাকে দ্বিধা করিয়া এক ভাগে পতি ও অপর ভাগে পত্নীরূপে আবিভূতি হন, তদ্রুপ পিতার হৃদয়োপলক্ষিত লিঙ্গ ও দ্বিধা বিভক্ত হয়। ঋতুকালে পুং বীজ স্ত্রীধাতু পোষণ করে। এই কারণে স্ত্রী ও পুরুষের সংযোগে স্ত্রীর তেজ আধিক্য হইয়া থাকে।