পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

L ని తీ } গৰ্ভস্থ শিশুর ঘুণিত অবস্থান আভাসে আভাসিত হউক শিশু, কিন্তু প্রকৃতই সুখী, ইহা ও সঙ্গত বলিয়া বিবেচিত হয় না । শিশু যদি গৰ্ভাবস্থায় সুখে অবস্থান করিত, তাহা হইলে প্রসবকালে যোড় হাতে সকরুণভাবে ভগবানের উদ্দেশে স্বীয় অনাদি জন্ম মৃত্যু পরম্পরার উল্লেখ করিয়া বলিত কি ( হে দেব ! ) আমি জন্ম মৃত্যু পরম্পরায় সহস্ৰ যোনি ভ্ৰমণ করিতে করিতে যাহাঁদের জন্য এত করিলাম, সৈই বন্ধুবান্ধব স্বজন কেহই এ অভাগার কষ্ট ভাগী হইল না । সকলেই ফলভোগ করিয়া চলিয়া গেল, আমি একই অনন্ত দুঃখসাগরে পড়িয়া জৰ্জরিত হইতেছি, ইহা হইতে উদ্ধারের কোনও পথ দেখিতেছি না। হে অশুভক্ষয়করি! ভয়ঙ্কারি ! ত্রিপুরারে! হে বিপত্তিবারণ ! মধুসূদন ! নারায়ণ ! এ অসহায় অধমকে যন্ত্রণা হইতে উদ্ধার কর । এবার যদি যোনি-যন্ত্রণা হইতে নিস্কৃতি লাভ করি, তাচ{ হইলে আমি মতেশ্বরের শরণাপন্ন হইব, নারায়ণের পূজা করিপ, সাংখ্যযোগ অভ্যাস করিব – ব্ৰহ্ম পদার্থের ধান করিব } এইত গৰ্ভস্থ শিশুর সুখের পরাকাষ্ঠী। অতএব কি করিয়া বলিতে পারি যে, গর্ভাবস্থা সুখের প্রকৃত স্থল ? অতঃপর ভূমিষ্ঠ শিশুর সুখ সমালোচনা করা যাউক । মনে কইতে পারে শিশু ভূমিষ্ঠ হইলে মলমূত্র সংবলিত গর্ভাশয়ে অবস্থান এবং গর্ভগত যন্ত্রণা দূরীভূত হয়, সুতরাং এই অবস্থাই মানব জীবনের সুখাধার-ইহাই পরমানন্দ বা ব্ৰহ্মানন্দ ভোগের উপযুক্ত সময়। কথাটা আপাতরম্য হইলেও বিশ্লেষণ করিয়া ।