পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন এবং একটু পরেই একখানি খাতা এনে আমার হাতে দিয়ে বললেন, তুমিই রমেশকে শুনিয়ে দেও, তার হিসাবে কত টাকা জমেছে । আমি খাতা খুলে বললাম, আগাগোড়া পড়ব না কি ? গৃহিণী বললেন, আমন কৰ্ম্মও কোরো না ; তা’ হ’লে রমেশ মনে ব্যথা পাবে। আমি বুঝতে না পেরে একবার তার মনে ব্যথা দিয়েছি, তুমি আর তা’ করো না। আমি বললাম, রমেশ, এই খাতায় যে হিসাব লেখা আছে, তাতে আজ পৰ্য্যন্ত পােচ শ” তিয়াত্তর টাকা সাড়ে ন’ আনা खl छ्ग्नCछ् । রমেশ বলল, অত আনা পাই আমি শুনতে চাই নি বাবু! পাঁচ শ” টাকা হয়েছে, এই আমি শুনতে চেয়েছিলাম। এখন আমার কথা বলি। এই দেড় বছর বলি নি কেন, জানেন মা ? আমার বিশ্বাস, কোন সঙ্কল্প করে” তা” যদি গোড়াতেই প্ৰকাশ করা যায়, তা’ হ’লে সে সঙ্কল্প সিদ্ধ হয় না । এই ভয়েই আমি কথাটা গোপন রেখেছিলাম ! তার জন্য কি আপনাদের কম কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। ঐ কথাটা জানিবার জন্যই ত ছোড়-দা’কে এত কষ্ট করে” আমলাবেড়ে যেতে হয়েছিল । কিন্তু আমি যে আমার সঙ্কল্পের কথা এক ভগবান ছাড়া কাউকে জানাই নি। তঁরই কাছে আমার আকুল আগ্রহ জানিয়েছি, তারই কাছে কৃপা ভিক্ষা করেছি। আজ আমার সঙ্কল্প সিদ্ধ হয়েছে। পাঁচ শ’ টাকা আমার জমেছে। এখন আমার কথা আপনাদের কাছে খুলে বলতে আর কোন আপত্তি নেই। কিন্তু, সুধু আপনাদের কাছে বললেই চলবে না, সবাইকার সম্মুখে বলতে bo