পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস তাড়ি উঠে দোর খুলে দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, এত রাত্রে কি বিশেষ দরকার ? ওর কি লজ্জা আছে ; আমনি বলে’ বস্ল, বৌদি, ভারি চা-চেষ্টা পেয়েছে। উনি আর কি করেন, সেই নিশি-রাত্ৰে চা খাইয়ে তবে নিস্তার। এত আব্দার উনি ছাড়া আর কে সইবেন ? আমি কিছু বলতে গেলেই উনি চোক রাঙ্গিয়ে বলে ওঠেন, আমায় যে ও কত ভালবাসে, এ সব তারই নিদর্শন । এ হেন মহাপ্রভুর তাল উনি ছাড়া সামলাবে কে ? দীনেশ বলল, জান মা, বড় বৌদি না থাকলে আমার এ বাড়ীতে বাস করাই দায় হ’ত । আমি হেসে বললাম, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, আমার দীনেশ যেন এমনই ভাবে জীবন কাটাতে পারে। যাক সে কথা । তোমাদের সকলকে ডেকে আনা হয়েছে কেন, তা”। শোন । রমেশ বলেছিল, তার উপাৰ্জনের টাকা যেদিন পাচ শ” হবে, সেই দিন ওর এই টাকা জমানোর কারণ বলবে। আজ এইমাত্র আমি ওকে জানিয়ে দিলাম যে, ওর হিসাবে পাচি শ” তিয়াত্তর টাকা আর কয়েক আনা জমেছে। তাই রমেশ আজ তার সঙ্কল্পের কাহিনী সকলকে শোনাবে ; আর সে কথা সে বাড়ীর সকলকে একসঙ্গে ক’রে বলবে। তাই তোমাদের ডেকে এনেছি। এখন সকলে স্থির হয়ে বসে। রমেশ তার কাহিনী বলুক। দীনেশ এই কথা শুনে লাফিয়ে উঠে বলল, আচ্ছা ছেলে মা, তোমার এই রমেশচন্দ্র। ওর কাহিনীর গোড়া খুঁজতে আমায় কি কম হায়রাণ হ’তে হয়েছে। কোথায় কলকাতা, আর কোথায় সেই মেদিনীপুর জেলার আমলাবেড়ে । শ্ৰীমান আমাকে সাত ঘাটের y°O