পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“SRy ਲੋਕ পণ্ডিতজী খুব উৎসাহের সঙ্গে বললেন-“খুব বুদ্ধিমানের মত কাজ করেছ। দেবতারা অত্যন্ত খামখেয়ালী জাত। কিসে যে তাদের অনুগ্রহ হয়, আর কেন যে তঁরা দরজা বন্ধ করে।” মুখ ভার করে’ বসে’ থাকেন তা মানুষের বাপেরও বোঝাবার সাধ্য নেই । “বারে বারে ঠেলতে হবে হয়ত দুয়ার খুলৰে না”-এ৷ একেবারে ভূক্ত-ভোগীর প্রাণের কথা। তাই যদি হয়, ত নিতান্ত কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি প্রণোদিত হ’য়ে দরজায় ঠেলাঠেলির কৰ্ম্মভোগটুকু আর কেন ? দরজা যখন খোলবার হয় খুলৰে, যখন বন্ধ হবার বন্ধ হবে। এ সরল সত্যটুকু বুঝলে “মেজে ঘসে সাহিত্যিক’, হবার দুশ্চেষ্টা থেকে মানুষ বেঁচে যায়, আর মা বীণাপাণিকেও অরসিকের হাতে পড়ে। গদাপাণি হ’য়ে উঠতে হয় না।” আমার সাহিত্য-সেবার উপর এ রকম প্রচ্ছন্ন কটাক্ষপাতে আমি যে খুব প্ৰসন্ন হয়ে উঠলুম তা নয়। পণ্ডিতজীর হাতে রামায়ণ খানার দিকে লক্ষ্য করে” বললুম-“ঠিক কথা বলেছেন, “পণ্ডিতজী । শুধু মা সরস্বতী কেন, খোদ ভগবান থেকে আরম্ভ করে? ভূত পৰ্য্যন্ত সমস্ত দেবতা, উপদেবতার উপর অত্যাচার করা মানুষের একটা বদ অভ্যাস হ’য়ে দাড়িয়েছে। কবে ত্ৰেতা যুগে রামচন্দ্ৰ অবতার হ’য়ে বানরের প্যারেড করিয়ে গিছলেন-আর তাই থেকে আমরা ঠিক করে’ বসে’ আঁছিযে যদি বনের বানর ধরে তাদের লেজ উচু করিয়ে প্যারেড করাতে পারি। ত স্বয়ং রামচন্দ্ৰ তাদের মাঝখানে এসে নিশ্চয় হাজির হৰেন। রামচন্দ্ৰ বেচারী হয়ত আমাদের কীৰ্ত্তিকলাপ দেখে বৈকুণ্ঠে হেসে গড়াগড়ি দিচ্ছেন।”