যাঞ্জৰক্ষ্যসংহিতা । বলোপবিধিনিৰ্ব্বস্তান ব্যবহারান নিবৰ্ত্তয়েই। স্ত্ৰীনত্তমস্তুরাগারবহিঃশত্রুকুতাংস্তথা। ৩২ মত্তোম্মত্তীৰ্ত্তব্যসনিবালভীতাদিযোজিত: | অসম্বন্ধকৃতশ্চৈব ব্যবহারে ন সিধ্যতি ॥৩৩ প্রনষ্টাধিগতং দেয়ং নৃপেণ ধনিনে ধনম্। বিভাবয়েন্ন চেল্লিঙ্গৈস্তং সমং দগুমৰ্হতি ॥ ৩৪ রাজা লন্ধ নিধিং দস্তাদ্বিজেভেnহুৰ্দ্ধং দ্বিজ: পুনঃ । বিদ্বানশেষমাদষ্ঠাৎ স সৰ্ব্বস্য প্রভুর্যতঃ ॥৩৪ ইতরেণ নিধেী লন্ধে রাজা ষষ্ঠাংশমাহরেৎ। অনিবেদিতবিজ্ঞাতে দাপ্যস্তং দ গুমেব চ ॥ ৩৬ Sማ © দেয়ং চৌরস্তুতং দ্রব্যং রাজা জনপদায় তু। অদদদ্ধি সমাপ্নোতি কিল্বিষং স্বস্ত তপ্ত জৎ । ৩৭ অশীতিভাগে বৃদ্ধি: স্যান্মাসি মাসি সবন্ধকে ।” বর্ণক্রমাচ্ছতং দ্বিাস্ত্রশচতুঃপঞ্চকমষ্ঠথ ॥ ৩৮ কাস্তাগারস্ব দশকং সামূদ্র বিংশকং শতম্ । । দ্যুৰ্বি স্বরুতাং বৃদ্ধিং সৰ্ব্বে সৰ্ব্বাসু জাতিযু ॥৩৯ সন্ততিস্থ পশুস্ত্ৰীণাং রসস্তাষ্টগুণা পরা। বস্থধান্তহিরণ্যানাং চতুক্সিদ্বিগুণা: স্মৃত: ৪• রাজাকে নিধিপ্রাপ্তি-সমাচার না জানাইয়া গোপনে সমস্ত লইবার চেষ্টা করিলে, রাজা তাহ জানিতে মনুষ্যদিগের ব্যবহারকার্য্যে এই সকলের মধ্যে পূৰ্ব্ব পারেন ত সমস্ত নিধি গ্রহণ করিবেন, এবং উহার পূর্ব উল্লিখিত ব্যক্তি পর পর অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ (অর্থাৎ শক্ত্যনুরূপ দণ্ড করিবেন। রাজা চৌরাপহৃত দ্রব্য বন্ধুবৰ্গ-দৃষ্ট ব্যবহারের পুনর্দশনজন্ত নানাজাতীয় | পাইলে, যাহার বস্তু অপহৃত হইয়াছে, তাহাকে জনসমূহের নিকট, তাছার দৃষ্ট ব্যবহারের পুন- দিবেন। না দিলে যে অপহরণ করিয়াছিল, তাহার দর্শনজষ্ঠ গ্রামবাসী বা নগরবাসী সমস্ত লোকের | অর্থাৎ চেীরের কলুষরাশি প্রাপ্ত হন। সবন্ধক নিকট যাইতে পরিবে—ইত্যাদি ; কিন্তু রাজনিযুক্ত ঋণে, প্রতি মাসে শতকরা অশীতিভাগের একভাগ লোক দৃষ্ট ব্যবহারের পুনৰ্দ্দনজন্ত গ্রাম বা নগরবালী-জনসমূহের নিকট যাইবে না-ইত্যাদি। এখন যেমন মূন্সেফ হইতে জজ, জজ হইতে হাইকোর্টে .আপিল হয় ; কিন্তু হাইকোর্ট হইতে জজের নিকট .আপিল হয় না, সেইরূপ ; ভাব এই—শ্রেষ্ঠব্যক্তিদৃষ্ট ব্যবহার পরিবর্তিত হইবে না । তবে বল বা ভয় নিম্পন্ন, স্ত্রীকৃত, নিশাকালকৃত, গৃহাভ্যন্তরকৃত, গ্রাম বহির্দেশকৃত এবং শক্ৰকৃত, ব্যবহার শ্রেষ্ঠব্যক্তি কর্তৃক দৃষ্ট হইলেও পরিবর্তিত করিবে । মত্ত, উন্মত্ত, পীড়িত, ব্যসনাসক্ত, বালক, ভীত, নগরাদি-বিরুদ্ধ এবং অনিযুক্ত সম্বন্ধ শূন্ত ব্যক্তি,—এই সকল লোকে যে ব্যবহার উথাপিত করে, তাহা অসিদ্ধ। রাজ শোণ্ডিকাদিদ্ধারে কাহারও প্রনষ্ট বস্তু প্রাপ্ত হইলে যে উক্ত বস্তুর বিশেষ বিশেষ চিহ্ন বিবৃত করিয়া ঐ বস্তুতে নিজের স্বত্ব জানাইবে, তাঙ্গকে তাহা প্রত্যপণ করিবেন। আর যে চিহ্ন বলিতে না পারিয়াও আত্মস্বত্ব জানাইবে, তাহার প্রার্থিত বম্ভর মূল্যপরিমিত অর্থদণ্ড হইবে। রাজা নিধি প্রাপ্ত হইলে বিদ্বান ব্রাহ্মণদিগকে তাহার অৰ্দ্ধভাগ প্রদান করিবেন ; বিদ্বান রাহ্মণ নিধি প্রাপ্ত হইলে তিনি স্বয়ংই সমস্ত ভাগ বৃদ্ধি (অর্থাৎ মুদ ) ; বন্ধকশ্বন্ত ঋণ হইলে, ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়, বৈগু এবং শূদ্র এই বর্ণানুসারে যথাক্রমে শতকরা শতভাগের তুইভাগ, তিনভাগ, চারিভাগ এবং পাচ ভাগ বৃদ্ধি (অর্থাৎ ব্রাহ্মণকে শতপণ ধার দিলে তাহার নিকট প্রতি মাসে দুই পণ, ক্ষত্রিয়কে দিলে, তাহার নিকট তিন পণ ই দি বৃদ্ধি লইবে । যাহারা বাণিজ্যাৰ্থ কান্তারে গমন করে, তাহার শতকর, শতভাগের দশভাগ এবং সমুদ্রগামীরা শতভাগের বিংশতিভাগ সুদ দিবে। অথবা সকলবর্ণ সকলজাতিকে ঋণগ্রহণ| সময়ে নিজ নিজ নির্দিষ্ট বৃদ্ধি দিবে। ) বহুকাল |. থাকিলে, অথচ মধ্যে মধ্যে সুদ গ্রহণ না করিলে, যতদূর পর্য্যস্ত সুদ বাড়িতে পারে, তাহ বলিতেছেন,~~) স্ত্রী-পশু ( অর্থাৎ গাভী প্রভৃতি) ধার করিলে তাঙ্গার বংসের মূল্য পৰ্য্যস্ত সুদ হইলে, আর সুদ বাড়িবে না। রসের (রসের (অর্থাৎ তৈল ভূতাদির) মুন্ মূলধন অপেক্ষ আটগুণ পৰ্য্যস্ত বাড়িবে, বস্ত্র ধান্ত এবং সুবর্ণের যথাক্রমে দুইগুণ তিনগুণ এবং চারিগুণ পুর্য্যস্ত বুদ্ধি হইবে। (উদাহরণ —শুমঘোষ রামঘোষের নিকট পঞ্চমবর্ষীয় গাভী ধার করিয়াছে, তদনুরূপ আর I গ্রহণ করিবেন ; যেহেতু তিনিই সমস্তজগতের একটা গাভী দ্বারা ঐ ঋণ পরিশোধ করিতে হইবে, প্রভু। বিদ্বান ব্রাহ্মণ ব্যতীত অপরে নিধি গুপ্ত কিন্তু অনেকদিন গত হুটুল, ঋণ পরিশোধ করিতে হইলে, রাজা তাহাকে ছয়ভাগের একভাগ দিয়া, পারিতেছে না,-রামঘোষ ভদ্রলোক, সুদ চাহিতে অবশিষ্ট সকল ভাগ স্বয়ং গ্রহণ করবেন। আর পারে নাই, ক্রমে লইলে এত সুদ লইতে পারিত
