পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R২ ন তস্তুেয়োহগ্নিহে ত্রেণ লাগ্নিষ্টোমেন লভ্যতে । যচ্ছ্বেয়ঃ প্রাপ্যতে পুংসা বিপ্রেণ স্থাপিতেন তু ॥ ৩০ যদযদিষ্টতমং লোকে যচ্চাপি দয়িতং গৃহে । তত্তদুগুণবতে দেয়ং তদেবাক্ষয়মিচ্ছত ॥৩১ ইতি দাক্ষে ধৰ্ম্মশাস্ত্রে তৃতীয়োহুধ্যায়ঃ ৩ ॥ চতুর্থোং ধ্যায়ঃ । পত্নীমূলং গৃহং পুংসাং যদি ছন্দোহনুবৰ্ত্তিনী। গৃহাশ্রমসমং নাস্তি যদি ভাৰ্য্যা বশামুগা ॥ ১ তয় ধৰ্ম্মার্থকামনা ত্রিবর্গফলমখুতে। প্রাকাম্যে বর্তমান তু স্নেহান্ন তু নিবারিত ॥ ২ অবষ্ঠা সা ভবেৎ পশ্চাদ্যথা ব্যাধিরুপেক্ষিতঃ । অমুকুল ন বাগৃহষ্টা দক্ষ সাধ্বী প্রিয়ংবদা । ৩ আত্মগুপ্ত স্বামিভক্ত দেবতা সা ন মানুষী ॥ ৪ অনুকূলকলয়ে যস্তম্ভ স্বর্গ ইহৈব হি । SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SS SS -- - بی. سیسی است. بیبیسی بیبیمم------- অসংখ্য পুণ্য । পুরুষ ব্রাহ্মণকে বজায় রাগিলে যে ফল লাভ করে, তাহ অগ্নিহোত্র বা অগ্নিষ্ট্রোমের অনুষ্ঠানে লাভ করিতে পারে না। জগতে যে যে বদ্ধ অত্যন্ত বাঞ্ছিত এবং যে বস্তু গৃহের প্রিয় ; সেই সেই বস্তু গুণবান পাত্রে দান করিবে ; তাহাতে ঐ সকল বস্তুর প্রতি অক্ষয়ত্ব ইচ্ছা পূর্ণ হয়। ১২—৩১ । তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত ॥ ৩ ॥ চতুর্থ অধ্যায় । পুরুষদিগের ভার্য্যা গৃহস্থাশ্রমের মূল। যদি পুরুষের ঐ ভাৰ্য্যা বশবৰ্ত্তিনী হয়, তাহা হইলে গৃহশ্রমের তুলনা নাই। যদি পত্নী বশবৰ্ত্তিনী হয়, তাহা হইলে পুরুষ পত্নীর সহিত ধৰ্ম্ম, অর্থ এবং কাম এই ত্রিবর্গের ফল ভোগ করে। যদি পুরুষের স্ত্রী যথেচ্ছাচারকারিণী হয়, কিন্তু (অত্যস্ত ন্ত্ৰৈণতাহেতু) তাঙ্গকে স্নেহবশতঃ নিবারণ করা না হয়, পশ্চাৎ সেই স্ত্রী অবশ হইয় উঠে ; যেমন ব্যাধি প্রথমে উপেক্ষিত হইলে পর পশ্চাৎ বিশেষ ক্লেশদায়ক হয়। তদ্রুপ, যে স্ত্রী স্বামীর অনুকূলতা চরণ করে ও বাক্যদেষরহিত, কাৰ্য্যদক্ষ, সতী, মিষ্ট্রভাষিণী, আপনা-আপনি ধৰ্ম্মরক্ষা করে এবং পতিভক্তিমতী ; সে স্ত্রী মমুয্য নয়—দেবতাসদৃশী। যে পুরুষের পত্নী বশবৰ্ত্তিনী, তাহার ইহুলোকেই উনবিংশতি-সংহিতা। প্রতিকুলকলড্রস্ত নরকে নাত্র সংশয় ॥ ৫ স্বর্গেইপি দুর্লভং হ্যেতদনুরাগঃ পরস্পরম্। রক্ত একো বিরক্তোহষ্ঠ স্তস্মাৎ কষ্টতরং মু কিম্ ॥ ৬ ' গৃহবাসঃ সুখার্থীয় পত্নীমূলং গৃহে মুখম্। স। পত্নী য। বিনীতা শুচ্চিত্তজ্ঞ বশবর্কিনী ॥ ৭ দুঃখ হান্ত সদা খিন্না চিত্তভেদঃ পরস্পরম্। প্রতিকূলকলত্রস্ত দ্বিদারস্য বিশেষত: | ৮ যোষিৎ সর। জলেীকেব ভূষণাচ্ছাদনাশনৈঃ। সুভূত্যাপি রুতা নিত্যং পুরুষ হপকর্ষতি ॥ ৯ জলেীক রক্তমাদন্তে কেবল সী তপস্বিনী । ইতর তু ধনং বিত্ত মাংসং বীর্য্যং বলং মুখম্।। ১০ সশঙ্কা বালভাবে তু যৌবনে বিমুখী ভবেৎ। ভূতাবন্মস্থাতে পশ্চাদৃবৃদ্ধভাবে স্বকৎপতিম্।। ১১ স্বৰ্গভোগ হয় এবং যে পুরুষের পত্নী অবশ, তাহার ইংলোকেই নরকভোগ হয়, এ কথায় সংশয় নাই। স্বর্গেও এইট তুর্লভ,—স্থাপুরুষের পরস্পর অনুরাগ থাক। স্ত্রীপুরুষের মধ্যে স্ত্রী কিংবা পুরুষ একজন হয়ত অনুরাগযুক্ত ও আর একজন হয়ত বিরক্তিযুক্ত, ইহা অপেক্ষা কষ্টজনক ব্যাপার কি আছে ? গৃহস্থাশ্রমে বাস করা কেবল সুথের নিমিত্ত, কিন্তু গৃহস্থাশ্রমে পত্নীই মুখের মূল ; যে স্ত্রী বিনয়যুক্ত, মনোগত ভাব বুঝিতে পারে এবং বশতপন্ন, সেই স্ত্রী যথার্থ পত্নীশব্দ-বাচ্য। (স্ত্রীলোকের যে সকল গুণের কথা উক্ত হইল ) ইহার অন্তভাব হইলে, স্ত্রীলোক কেবল দুঃখ ভোগ করে, সৰ্ব্বদা খেদযুক্ত হয় । পুরুষের স্ত্রী যদি প্রতিকুলকারিণী হয়, তাহাতে পরস্পর চিত্তের অনৈক্য হইতে থাকে ; বিশেষতঃ যদি পুরুষের দুই পত্নী হয়, তাহাতে পরম্পর চিত্তের অনৈক্য সৰ্ব্বদাই হয়, স্ত্রী সকল জলোকার তুল্য, অলঙ্কার, বস্ত্র এবং অন্ন প্রভৃতি দ্বারা উত্তমরূপে প্রতিপালিত হইলেও সৰ্ব্বদাই পুরুষগণের রক্ত শোষণ করে। সেই ক্ষুদ্র জলৌক মনুষ্যের কেবল রক্তই শোষণ করে ; কিন্তু স্ত্রীরূপ জলেীক পুরুষের রক্ত, ধন, (শরীরের ) মাংস, বীৰ্য্য, বল এবং মুখ সকলই শোষণ করে। (অর্থাৎ স্ত্রীলোক পুরুষকে একদণ্ডও স্বচ্ছন্দে থাকিতে দেয় না ।) ১—১০. যখন পরম্পরের অল্প বয়স থাকে, তখন স্ত্রীলোক সৰ্ব্বদা শঙ্কাযুক্ত থাকে ; যখন পরস্পরের যৌবনকাল উপস্থিত হয়, তখন ! স্বামীর প্রতি অনুরাগিণী হয় না। অর্থাৎ স্বামীর ইচ্ছামত চলে না। যখন স্বামী বৃদ্ধ হইয় পড়ে,