পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৯)

জানেন। সে বিষয়ে বলা বাহুল্য। (৪) ধর্ম্ম সম্বন্ধীয় নিয়মও কিরূপ ঠিক ছিল তাহা সকলেই জানেন হোমেই তাহার প্রকাশ।

 এখন জিজ্ঞাসা করি, কেশব বাবু প্রথমে এনিয়মগুলি করিয়াছিলেন কার আদেশে? যদি বল বিবেকের আদেশে, তবে এগুলির ভঙ্গ হওয়াতে ত তাঁহার বিবেক বিরুদ্ধ কার্য্য হইয়াছে? যদি বল বিবেকের আদেশে নয় কিন্তু বুদ্ধির আদেশে তবে ত তিনি ফলবাদীর ন্যায় কার্য্য করিয়াছিলেন। সে যাহা হউক আমাদের এই বড় দুঃখ যে কেশব বাবু নিজে যতগুলি নিয়ম নিৰ্দ্ধারণ করিয়া ছিলেন তাহার কোনটী রক্ষিত হইল না কিন্তু তাঁহারা যাহা যাহা বলিলেন সকল রক্ষিত হইল। তাঁহারা বলিলেন কেশব বাবু কন্যা সম্প্রদান করিতে পারিবেন না, তিনি দিতে পারিলেন না—(প্রমাণ ১৭ই মর্চ্চের মিরার); তাঁহারা বলিলেন ব্রাহ্ম পুরোহিত মন্ত্র পড়াইতে পারিবেনা সুতরাং পড়াইতে পারিলেন না (প্রমাণ ঐ দিবসের মিরার) তাঁহারা বলিলেন সামাজিক উপাসনা হইবে না—সমাজিক উপাসনা হইতে পারিল না। প্রমাণ এই পত্র, কারণ ইহার একস্থানে আছে “পরে ব্রাহ্মরীতি অনুসারে প্রতিজ্ঞা প্রার্থনা ও বর কন্যার প্রতি আচার্য্যের উপদেশ এই কয়েকটী অনুষ্ঠান স্বতন্ত্র স্থানে কতিপয় ব্রাহ্মের সম্মুখে সুসম্পন্ন হইল।” ইহা দেখিয়া কোন্‌ ব্রাহ্মের হৃদয়ে না ক্লেশ হয়।—

 ৬। তাহার পর বিবাহের প্রস্তাব কিছুকাল বন্ধ থাকে, পরে ১১ মাঘের সময় আবার উপস্থিত হয়। কেশব বাবু নিজে যে নিয়মে বিবাহ দিতে স্বীকৃত হইলেন তাহা কেন ভঙ্গ করিলেন