পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২৫)

সেই শিবচন্দ্র বাবু, বাবু দুৰ্গামোহন দাস, বাবু আনন্দমোহন বসু প্রভৃতি ২৩ জন আনুষ্ঠানিক ব্রাহ্ম স্বাক্ষর করিয়া যে প্রার্থনা পত্র তাঁহার হস্তে দিলেন, তাহা তিনি পাঠ করিলেন না। আমাদের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসা করাতে বলিলেন যে, তাহা পাঠ করা তিনি পাপ মনে করেন। কেবল তাহা নহে, তিনি আমাদের কাহার কাহারও নিকটে আস্ফালনপূর্বক বলিয়াছেন যে, অন্যের পক্ষে কন্যার অল্প বয়সে বিবাহ দিলে পাপ, তাঁহার পক্ষে এক বৎসরের বালিকার বিবাহ দিলে পাপ হয় না। এরূপ অহঙ্কার ও আস্ফালন পূর্ব্বোক্তরূপ বিশ্বাস না থাকিলে কখনই জন্মিতে পারে না। এই কথা গুলি লিখিতে লিখিতে আমি ভাবিতেছি যে, আমরাই কেশব বাবুর এই অপকার করিয়াছি, ব্রাহ্মদিগের মধ্যে কতকগুলি যদি তাঁহার পদলেহন ও পদধারণ করিয়া প্রার্থনা না করিতেন, যদি ব্রাহ্ম প্রচারকগণ তাঁহার ইচ্ছাকে আপনাদের শাস্ত্র স্বরূপ না করিতেন, যদি তাঁহার হস্তে ব্রাহ্ম সমাজের সমুদায় ভার অর্পিত না হইত, যদি নরপূজার আন্দোলন আশ্রমের আন্দোলন প্রভৃতি যাঁহারা করিয়াছিলেন তাঁহারা কিয়দ্দিন পরে নিরস্ত না হইতেন, যদি কেশব বাবু ও তাঁহার পক্ষীয় ব্যক্তিগণ মিরার ধর্ম্মতত্ত্ব সুলভ প্রভৃতিতে কটুক্তি অখ্যাতি ঘোষণা করিয়া বিপক্ষদিগকে ব্রাহ্ম সাধারণের চক্ষে অসৎ লোক বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে সমর্থ না হইতেন; যদি তাঁহার পারিপার্শ্বিদিগের মধ্যে তাঁহার ভ্রমকে ভ্রম বলিবার সাহস কাহারও থাকিত, তাহা হইলে তিনি এরূপ ভ্রমে পতিত হইতেন না। তিনি মহাপুরুষ