পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

(৩)

একটু বিরক্ত হইয়া বলিলেন,—“তোমরা কেশবচন্দ্র সেনেরও ঘাড়ের মাস ছিঁড়িও।” আমরা পরে চলিয়া আসিলাম। কেশব বাবু আমাদিগকে বলিয়াছিলেন যে অনুমান ১০ দিনের মধ্যে সমুদায় স্থির হইবে। কিন্তু দুই তিন দিনের মধেই শুনা গেল বিবাহ হওয়া স্থির এবং ৯ই ফেব্রুয়ারি দিবসের সুলভ ও মিরারে বিবাহের বিষয় প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করা হইল। সেই দিনেই ২৩ জনের স্বাক্ষরিত একখনি প্রার্থনা পত্র কেশব বাবুর হস্তে অর্পিত হইল এবং ঐ পত্র মুদ্রিত করিয়া সমুদায় সমাজে প্রেরিত হইল। অপরাধের মধ্যে সেই পত্রে বলা হইয়াছিল, যে, পাত্রটি শিশু, অগঠিত চরিত্র, ও বিদ্যাবুদ্ধি সম্বন্ধে ও কাঁচা, এরূপ পাত্রে এত গুলি নিয়ম ভঙ্গ করিয়া কন্যা দিলে লোকে মনে করিবে আপনি পাত্রের পদ ও ধন দ্বারা আকৃষ্ট হইয়াছেন; আপনার সম্বন্ধে এরূপ অপবাদ ও আমাদের সমাজের পক্ষে অনিষ্টকর।” এই টুকুই প্রচারক মহাশয় দিগের বিচারে অপবাদ ও নিন্দা বলিয়া গণ্য হইল। কেশববাবু একবার পত্রখানি পড়িলেন না অথচ পরের মুখে অম্লাস্বাদনের ন্যায় বুঝিলেন যে তাহা বিদ্বেষবিজম্ভিত এবং এই বিবেচনা করিয়াই ৬৬ বৎসরের প্রাচীন ব্রাহ্ম শিবচন্দ্র দেব, আনুষ্ঠানিক ব্রাহ্মদের অগ্রণী বাবু দুর্গামোহন দাস এবং বঙ্গদেশের শিক্ষিত সমাজের মুখশ্রীস্বরূপ আনন্দমোহন বসু প্রভৃতির স্বাক্ষরিত সেই পত্রখানি পড়া পাপ বলিয়া ফেলিয়া দিলেন। তথাপি আনন্দমোহন বাবু ১৬ ফেব্রুয়ারি কেশব বাবুকে এক পত্র লিখিয়া তাঁহার অভিপ্রায় জানিবার