পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
এক নজরে ইসলাম

ভারতীয় কিশোরী হাসিনা বেগমের বাবাকে ৪০ হাজার টাকা মোহর দিয়ে হাসিনার সঙ্গে ক্ষণস্থায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোন অন্যায় করেনি। বরং সে আল্লা নির্দিষ্ট বৈধ কর্মহকরেছে। মেয়েটি নাবালিকানা সাবালিকা, সে ব্যপারে আল্লার কোন নির্দেশ নেই। এ ব্যাপারে স্মরণ করা যেতে পারে, যে, নবী হজরত মহম্মদ তাঁর ৫২ বছর বয়সে ৬ বছরের শিশু আয়েষাকে নিকাহ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সভ্য জগতের আইন অনুসারে কেউ কোন নাবালিকাকে বিবাহ করলে সে ধর্ষণের অপরাধে অপরাধী বিবেচিত হবে। আর কোরান নির্দিষ্ট ক্ষণস্থায়ী বিবাহ বিবেচিত হবে পতিতাবৃত্তি হিসাবে।

সুতরাং বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, আরবের ধনকুবেরদের হায়দ্রাবাদে এসে ভারতীয় নাবালিকাদের ক্ষণস্থায়ী বিবাহ বা মুতা করা এবং তাদের সঙ্গে ওঠাবসা করা বর্তমান সভ্য সমাজের আইনে নারীত্বের পণ্যায়ন (পতিতাবৃত্তি) এবং যৌন অত্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। হায়দ্রাবাদে এইসব অপরাধের সূচনা হয় আজ থেকে ১৪ বছর আগে। গত ১৯৯১ সালে ১১ বছর বয়সী আমিনা নামের একটি কিশোরীকে বলপূর্বক আরবের এক ধনকুবের বৃদ্ধের সঙ্গে ক্ষণস্থায়ী বিবাহ দেওয়া হয়। খবরটা জানাজানি হয়ে যাবার ফলে কিছুটা সোরগোলের সৃষ্টি হয় বটে, তবে সেই সোরগোল থেমে গেলে হায়দ্রাবাদের মেয়ে বাজারের ব্যবসা রমরমিয়ে চলতে থাকে। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে দিয়ে কমফেডারেশন অফ ভলাণ্টারি এজেন্সিজ’ নামক একটি সামাজিক সংস্থা (এন জি ও-র অধিকর্তা জনাব মাঝার হোসেন বলেন,“এইসব(ক্ষণস্থায়ী) বিবাহ ছোট ছোট মেয়েদের পতিতায় পরিণত করছে।”

যে কোন সভ্য সমাজেই ইসলামের ক্ষণস্থায়ী বিবাহ বা মুতা যে পতিতাবৃত্তি অথবা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একজন বয়স্কা মহিলা ও একজন নাবালিকাকে ধর্ষণের মধ্যে অবশ্যই আইনগত প্রভেদ থাকা উচিত। দুঃখের বিষয়, ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে তাতে নাবালিকা বা সাবালিকাকে ধর্ষণের মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয় নি। অনেকের মতে, নাবালিকা ধর্ষণের মতো অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য আরও আইন ও প্রাণদণ্ডের মতো চরম শাস্তির বিধান থাকা উচিৎ। মানে আইন আরও কঠোর হলে হায়দ্রাবাদের নাবালিকারা আরবের ধনকুবেরদের যৌন স্বেচ্ছাচারিতার হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাবে।