অটলভাবে উপবিষ্ট, এর জন্যে শ্বেতাঙ্গদের মনস্তাপের অবধি ছিল না। তাই আগেই বলেছি, গুপ্তহত্যার ভয় দেখিয়ে জনসনকে হার মানতে বাধ্য করা হয়েছিল, নইলে উইলার্ডের মত যোদ্ধা তাঁর পাশে দাঁড়াবারও যোগ্য ছিল না। উইলার্ড যখনই দ্বিতীয় ও মধ্যম শ্রেণীর যোদ্ধার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তখনই পরাজিত হয়েছেন। গানবোট স্মিথ কখনো পৃথিবীজেতা হ’তে পারেননি। জনসনের সামনে গেলে তাঁর অবস্থা হ’ত হয়তো তোপের মুখে উড়ে যাবার মত। তাঁর আর উইলার্ডের দেহের ওজন ছিল যথাক্রমে ১৮৫ ও ২৫০ পাউণ্ড এবং দেহের দীর্ঘতা ছিল যথাক্রমে ৫ ফুট এগারো ইঞ্চি এবং ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। তবু উইলার্ড জিততে পারেননি। টম ম্যাক্মোহন এক সাধারণ যোদ্ধার কাছেও তিনি হেরে গিয়েছিলেন। এমন একটা বাজে লোকের কাছেও শ্বেতাঙ্গদের মান রক্ষার জন্যে জনসন হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন। উইলার্ড পরে জ্যাক ডেম্পসি ও লুইস ফির্পোর সামনেও দাঁড়াতে পারেননি, অথচ জনসন তারপর বহু যোদ্ধার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রত্যেক বারেই জয়ী হয়েছেন। এমনকি জনসনের বয়স যখন তেতাল্লিশ বৎসর, তখন তাঁর চেয়ে বয়সে সতেরো বছরের ছোট হোমার স্মিথও তাঁর কাছে পরাজয় স্বীকার করেছিলেন।
গোবরবাবু ভারতবর্ষে প্রকাশ্যভাবে একবার মাত্র কুস্তি প্রতিযোগিতায় দাঁড়িয়েছিলেন। সেবারেও বিচার–প্রহসন হয়নি বটে, কিন্তু হয়েছিল বিচার-বিভ্রাট। সে কথা পরে বলব।
আমেরিকায় কুস্তি প্রতিযোগিতা লোকপ্রিয় হয়েছে ১৮৭০ খৃষ্টাব্দ থেকে। কিন্তু সেখানকার পেশাদার কুস্তিগীররা টাকার লোভে প্রায়ই কৃত্রিম যুদ্ধের (বা Mock fight) ব্যবস্থা করত ব’লে কুস্তির প্রতি লোকে শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলেছিল। বর্তমান শতাব্দীতে কুস্তির মান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বটে, কিন্তু ১৯২২ খৃষ্টাব্দে আমেরিকার স্ট্র্যাঙ্গলার লুইসের “পৃথিবীজেতা” উপাধি লাভের পর থেকেই মল্লযুদ্ধের দিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয় সকলের দৃষ্টি।
ডাঃ বি এফ রোলারের পেশা হচ্ছে ডাক্তারী, কিন্তু মল্লযুদ্ধেও তিনি প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছেন। শুনেছি অল্পকালের জন্যে
১২৯