ভাবে পরিচালিত হইলে আত্মার বল ও শক্তির বৃদ্ধি অনিবার্য্য।
বিবাহ।
পূর্বে স্ত্রীলোকেরা পতিমর্য্যাদা বিশেষরূপে জ্ঞাত না হইলে বিবাহ করিতেন না। শাস্ত্রে লেখে “কন্যা যত দিন পতিমর্য্যাদা ও পতিসেবা না জানে এবং ধর্ম্ম শাসনে অজ্ঞাত থাকে, তত দিন পিতা তাহার বিবাহ দিবেন না।” যে সকল সদ্যোবধূর উপাখ্যান বর্ণিত হইয়াছে, তাঁহারা যৌবনাবস্থায় বিবাহ করিয়াছিলেন। যুবক ও যুবতী পরস্পর সন্দর্শন করিয়া ও পরস্পরের স্বভাব, চরিত্র, গুণ ইত্যাদি জানিয়া, পিতা মাতার অনুমতি অনুসারে বিবাহ করিতেন। রামচন্দ্রের বনবাস কালীন অযোধ্য সর্ব্বপ্রকারে নিরানন্দে মগ্ন ছিল। বাল্মীকি লেখেন, যে সকল উদ্যানে যুবক ও যুবতী আমোদার্থে ও পরস্পর সন্দর্শনার্থে গমন করিতেন, তাহা এক্ষণে শূন্য রহিল।
ক্ষত্রিয়েরা বীরত্ব সম্মানার্থে কন্যাকে স্বয়ংবরা করিয়া বিশেষ বিশেষ পণ করিতেন। রাম, ধনু ভঙ্গ করিয়া