পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বািহন্তে বঙ্গসৈন্য । o V) প্ৰগাঢ় ছায়ায় আবৃত হইতেছিল। তাহারা নিদাঘের দারুণ রৌদ্র ও जूटल्ड যার পর নাই কাতর হইয়া হাহাকারে দিষ্মণ্ডল. প্ৰতিধ্বনিত করিয়া তুলিত। দিবাভাগে রৌদ্র ও বৃষ্টিতে তাহারা অভিভূত হইয়া পড়িত। রাত্রিকালে মেঘমিশ্ৰিত দুৰ্ভেদ্য অন্ধকার তাহাঁদের হৃদয়ে বিভীষকার সঞ্চার করিত। ভূমিতল ব্যতীত তাহাদিগের আর কোনও শয্যা না । বর্ষার মেঘমেদুর আকাশ ব্যতীত আর কিছু তাহাদের আচ্ছাদন ছিল না। তাহারা অনাহারে, অনিদ্রায়, প্ৰেতরাজ্যের অধিবাসিগণের আকার ধারণ করিয়াছিল। বৃক্ষের পত্র, ভূমির তৃণ, এমন কি পিপীলিকাদি কীট পৰ্য্যন্ত তাহদের খাদ্যদ্রব্যে পরিণত হইয়াছিল । কোথায়ও তাহারা মুষ্টিমেয় তণ্ডুল মাত্ৰ পায় নাই । যে গ্রামে তাঙ্গার আহারের জন্য উপস্থিত হইয়াছে, অমনি মহারাষ্ট্রীয়গণ ভীষণ অগ্নিদাহে সমস্ত গ্ৰাম ভস্মীভূত করিয়াছে। মহারাষ্ট্রীয়গণের ভয়ে কেহ তাহাদিগকে সামান্য তৃণমাত্ৰ প্ৰদান করিতে সাহসী হয় নাই । তাহদের সমস্ত গোলাগুলি অপহৃত হইয়াছিল, দূর হইতে যে শত্রুপক্ষকে বাধা প্ৰদান করিবে তাহারও কিছু মাত্র উপায় ছিল না । ক্ৰমে ক্ৰমে তাহাদের বীৰ্য্য হ্রাস হইয়া আসিতেছিল এবং এক এক করিয়া সকলে ধরাশায়ী হইতেছিল। নবাব-সৈন্যগণ যদি সত্বর কাটোয়ায় উপস্থিত হইতে না । পারিত, তাহা হইলে অনাহারে ও পথশ্রমে সকলেই একবারে বিধবস্ত হইয়া যাইত । এই সময়ে জগন্নাথের পথে ধৰ্ম্ম প্ৰাণ হিন্দু মহাজনগণ কর্তৃক যাত্ৰীদিগের জন্য অনেকগুলি চৌবাচ্চ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । নবাব সৈন্যগণ রাত্রিকালে তাহার নিকটে অবস্থান করিয়া পথশ্ৰম দূর করিত। সেই সমস্ত চৌবাচ্চার চারিপাশ্বে অনেক বৃক্ষ রোপিত থাকায়, সৈন্য, সেনাপতি সকলে উদরপূৰ্ত্তি করিয়া তাহদের পত্র ও বল্কল ভোজন করিয়া কোন প্রকারে প্রাণ রক্ষা করিত । কি সেনাপতি, কি সামান্য সৈন্য কলেই আহাৰ্য্যের জন্য অস্থির হইয়া এক সেরা খিচুড়ি বা অৰ্দ্ধসের