/ङछ्रे भभू । N O S বিবরণ অনেক পড়িয়াছি। তঁহাদের দৃষ্টান্ত ভারত ভুলে নাই। তাঁহাদের মত হইবার জন্য ভারত আজীবন তপস্যা করিতেছে। এই তপহস্তায় কত জনে সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন, তঁহাদের সে হাতিহাস কে জানে ? আমাদের এই পতিতাবস্থাতেও হয়ত অনেক হরিশ্চন্দ্ৰ, অনেক কৰ্ণ, বহু রান্তি ও বহুতর শিবি আছেন । কালে হয়ত আবার তঁহাদের কীৰ্ত্তিতে জগন্মণ্ডল উজ্জল হইয়া উঠিবে। মহাবীর কৰ্ণ যেমন স্বীয় সন্তানকে উৎসর্গ করিয়া অতিথি ব্ৰাহ্মণের তৃপ্তি সাধন করিয়াছিলেন, শিখবার ভাই মধুও তদ্রুপ আপনার প্ৰিয়তমা সহধৰ্ম্মিণীকে উৎসর্গ করিয়া অতিথির সেবা করিয়াছিলেন। তাহার সে উৎসর্গকাহিনী যেমনি ঈদয় বিদারক, তেমনি মধুর। সে কাহিনী শিখ আজও আদরের সহিত স্মরণ করিয়া থাকে । একদিন সন্ধ্যাবসানে মধু দিবসের কঠোর পরিশ্রমের পর জীবনের একমাত্ৰ সঙ্গিনী, সুখ দুঃখে সম ভাগিনী সহধৰ্ম্মিণীর সহিত বসিয়া বিশ্ৰাম্ভালাপ করিতেছেন। পাতি প্ৰাণ স্ত্রীও ক্লান্ত স্বামীকে আন্তরিক ভক্তির সহিত আহারাদি করাইয়া এখন প্ৰীত মনে ঠাহার সেবা করিতেছেন । সে রাত্রিতে প্রকৃতি বড়ই ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছিল। অনবরতই শীতল বাতাস বহিতেছে। মধ্যে মধ্যে প্ৰবল বাত্যা আসিয়া সেই ক্ষুদ্র কুটিরটিকে কঁপাহয় তুলিতেছে। মুষলধারে বৃষ্টি পড়িতেছে। বাহিরে তখন রাজা স্বীয় দক্ষিণ উরু হইতে মাংস কৰ্ত্তন করিয়া পরিমাণ করিলেন, কিন্তু সেবারেও কপোত শুরু হইল। এইরূপে রাজা সর্ব শরীরের মাংস কাটিয়া পরিমাণ করিলেন, তথাপি কপোত গুরু হইল। শেষে রাজা নিজেই তুলাদণ্ডে বসিলন। এই দৃশ্য দেখিয়া শ্যেন অন্তৰ্হিত হইল। তখন জানা গেল, কপোত বৈশ্বােনর অগ্নি बांब्र-cमाझे cभान अंौि°डि ट्रेष्ठ । এই উপাখ্যানটি বন পর্বের ১৯৬তি অধ্যায়ে দৃষ্ট হয়। কিন্তু ঐ পর্বের ১৩১শ অধ্যায়েও ঠিক এইরূপ একটি বিবরণ দেখা যায়। তাহাও মহারাজ শিবির পিতা উশীনারকে পরীক্ষা করিবার জন্য অগ্নি ও ইন্দ্রেরই ছলনা। এই উভয় উপাখ্যানের কোনই প্ৰভেদ নাই। একটি অপরটির অনুকৃতি মাত্ৰ। -
