পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজিত সিংহ ও জুঝার সিংহ। \)(V) ব্ৰয়োদশবর্ষীয় বালক যুদ্ধের কি বুঝে ? • কিন্তু যাহারা ক্ষত্ৰিয়-পুত্র, ভীষণ যুদ্ধের কোলাহলের মধ্যে যুহারা প্ৰতিপালিত, যুদ্ধের নামে তাতাদের হৃৎকম্প হয় না, বরং সে নামে তাহাদের হৃদয় নাচিয়া, উঠে। গোবিন্দসিংহ হাসিয়া বলিলেন-“তবে আইস ! আমি নিজে তোমাকে যুদ্ধসজ্জায় ভূষিত করিয়া দিষ্ট ।” পুত্ৰ নাচিতে নাচিতে যুদ্ধসজ্জা পরিতে লাগিলেন। একটি সুন্দর মখমলের পরিচ্ছদে বালকের কোমল দেহ আবৃত করিয়া দেওয়া হইল । কটিদেশে মেখলা বাধিয়া দেওয়া গুইল । তদুপরি একখানি সুন্দর অসি-কোষ সংযুক্ত ঠাইল । জরি ও পালকে সুশোভিত একটি ক্ষুদ্র (শংস্ত্ৰণ বালকের মস্তকোপরি শোভা পাইল । বালক স্বীয় বেশ দেখিয়া আনন্দে ঠাসিয়া উঠিলেন । পিতা তাঙ্গাকে দৃঢ় আলিঙ্গনে অf পদ্ধ কািরয়া পারংবার মুখচুম্বন করিতে লাগিলেন। শেষে পলিলেন-জুঝ:র ! তুমি আমার! মৃত্যুর ভয় করি ও না । শত্রুকে পশ্চাৎ দেখাই ও না। ঐ ক্ষু দ আসি লষ্ট য়। যুদ্ধ করিতে করিতে দেহ ত্যাগ করিও । মৃত্যুাষ্ট স্বৰ্গরাজ্যের প্রবেশদ্বার । ঈশ্বর তোমায় আশীৰ্ব্বাদ করুন ।” পিতার নিকট বিদায় পাঠায় সিংহ শিশু অশ্বারোহণে শত্রুর উপর আপতিত হইলেন । বালক যুদ্ধক্ষেত্রে অসীম বীরত্ব দেখাইয়া অনন্তনিদ্রায় অভিভূত হইলেন। তাহাকে পতিত হইতে দেখিয়া পিতার কণ্ঠভেদ করিয়া উচ্চারিত হইল-“তুমি ধন্য ! তোমারই সত্য, তোমারই ধৰ্ম্ম রক্ষা করিতে যাইয়া, আমার দুই পুত্ৰ বীরের ন্যায় বীর শয্যায় শয়ন করিয়াছে !” শুৎপরে সিংহ স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হইলেন। র্তাহার তেজের নিকট প্ৰবল মোগলশক্তি প্ৰতিহত হইল। সেনাপতি নাহর খাঁ তাহার হস্তে তাত ও খাজা মহম্মদ আহত হইলেন। কিন্তু তখন তিনি নিতান্তই ক্ষীণবল। পাঁচ জন মাত্র তাহার পার্শ্বচর। আর সকলেই অনন্ত নিদ্রায় R