পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (তৃতীয় বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जिन-७० ।। . 伊> সুতরাং বাবৰ্ত্তক প্ৰমাণ দ্বারা জানা যাইতেছে যে, তৎকালে পুস্তক િિશৰার প্রণালী অনুসৃত হয় নাই ; কিন্তু প্ৰবৰ্ত্তক প্রমাণেরও অসদ্ভাব নাই। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠেয় বিধানাবলী কিংবা অনুশাসন বিদ্যমান থাকার অনেক প্ৰমাণ পাওয়া যায়, কিন্তু সে সকল পুস্তকাকারে না থাকায় লোকের মুখে মুখেই থাকিত। নিয়ে তাহার কতিপয় প্রমাণ উদ্ধত হইল। অঙ্গুত্তরায় (৩,১০৭) বিধান আছে যে, বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ সুন্দর ক্ষুদ্র লালিত্যপূর্ণ পদ্যে সুতান্ত শুনিলেই তাহা মনোযোগ পূর্বক মুখস্থ করিয়া রাখিতে চেষ্টা করিবে। কিন্তু গভীর তত্ত্বকথা পূৰ্ণ বা দার্শনিক গ্ৰন্থাদির প্রতি উপেক্ষা প্ৰদৰ্শন করিতে পারিত। তজজন্য উক্ত গ্রস্তে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের অবনতির চারিটি কারণের মধ্যে একটির এইরূপ উল্লেখ আছে যে,-যে সব ভিক্ষুরা বহুশিক্ষাপ্ৰাপ্ত হইয়াছেন এবং র্যাহারা পরম্পরাগত জ্ঞান আয়ত্ত করিয়াছেন, র্যাহারা ধৰ্ম্মতত্ত্ব এবং বৌদ্ধ বিধান সমূহ ও তাহার সূচী আপনি স্মৃতিভাণ্ডারে সঞ্চিত রাখিয়াছেন, তাহারা অপর ভিক্ষুকে ঐ সকল শিক্ষা দিতে যত্নবান না হইতে পারেন। সেরূপ স্থলে তঁহাদের অভাবে সুতান্তার মূলই কাৰ্ত্তিত হইবে অর্থাৎ, চিরতরে বিলুপ্ত হইবে। উক্ত অঙ্গুত্তরা গ্রন্থেই ( ৫,১৩৬) যে সকল উপায়ে মনোবৃত্তির উন্নতি ও বৰ্দ্ধন হইতে পারে তাহার একটি তালিকা আছে। তন্মধ্যে একটী উপায়-- শিক্ষা, পাণ্ডিত্য, এস্থলে ইহা স্বভাবতঃই মনে হইবে, ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ ঐ উপায়ের অন্তভুক্ত বলিয়া উল্লিখিত হইবে। কিন্তু তাহা হয় নাই, তৎপরিবর্তে লিখিত আছে যে, ধৰ্ম্মৰিধান সকল পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করিতে হইবে। এই রকম DDDBB BDB DBBD DDBDD S DBDBDB DBDB DBD BDB DDB DBSBBDuBBuD শিক্ষার মূল রূপে বিবেচিত হইত এবং পুনঃ পুনঃ আবৃত্তিই বিস্মৃত না হইবার উপায় রূপে নির্দিষ্ট হইয়াছে। সুতরাং সে সময় পুস্তক-লিখন-প্ৰণালী বিদ্যমান, থাকিলে, এইরূপ বিধান নির্দেশিত হইত না । ৰৌদ্ধধৰ্ম্ম-বিধিতে আমরা এইরূপ দুইটি অনুশাসন দেখিতে পাই। বিনয়পিটকের ( ১,২৬৭ ) লিখিত আছে যে, প্ৰত্যেক ভিক্ষু-আশ্ৰমে প্ৰতিমাসে