পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মতিঝিল।
৫৩৯

তবুও কমল হাসে তুলি নিজ শির,
ধীরে যারে তালে তালে নাচায় সমীর
“গুন্ গুন” রব তুলি ভ্রমরনিচয়,
ঝিলের প্রাচীন কথা পরস্পরে কয়;
কোথাও জলের পাখী করি কল গান,
শ্রবণে বরিষে সুধা জুড়ায় পরাণ;
নব দূর্ব্বাদল শোভে ঝিল তীরদেশে,
সাজায়ে প্রকৃতি অঙ্গ মনোহর বেশে।
সুদীর্ঘ পাদপরাজি ঝিল তীরোপরে,
নীর মাঝে নিজাকৃতি দরশন করে,
পূর্ব্বের সৌভাগ্য স্মরি কভু হাহাকারে,
“শন্‌ শন্‌” শব্দ করি সে দুঃখ প্রচারে!
রাখাল গোপাল ল’য়ে বসিয়া ছায়ায়,
মনসুথে হাসে খেলে, কভু গীতি গায়;
রজনীতে ঝিলনীর কত শোভা ধরে,
চন্দ্রকর বায়ু সনে যখন বিচরে।

স্বভাব শোভায় পূর্ণ এবে ঝিলকায়,
ভগ্নস্তূপে পরিণত প্রাসাদ তথায়;
চিন্তারত চিতে ঝিল করিলে দর্শন,
প্রত্নতত্ত্ববিদ্‌ করে অশ্রু বরিষণ!

আলিবর্দ্দী ভ্রাতুষ্পত্র জামাতৃরতন—
নোয়াগেস মহম্মদ, করিয়া যতন,
হেথায় করিয়াছিল, মসজিদ ভবন,
মাদ্রাসা, অতিথিশালা, প্রাসাদ, তোরণ,