পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (ষষ্ঠ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোহিনুর। 9) DDiiDBt BDBDS DBDBDBD D DDS SBD BDDS DBBB DDD S DBDBD বৎসর পূর্বে গোদাবরীতীরস্থ বালুকারাশির মধ্য চাইতে এই কোহিনুর আবিষ্কৃত হয় । অন্যে মনে করেন, মহাভারতের খ্যাত যশ, অঙ্গাধিপ। মহাবীর কর্ণেয় যে মূল্যবান এক খণ্ড হীরক ছিল, তাহাই এই কোহিনুর। অপর একদল লোক এই সকল জল্পনা-কল্পনা প্ৰমাণসিদ্ধ বলিয়া হাসিয়া উড়াইয়া দেন। তঁাতারা বলেন কোহিনুর, মধ্যভারতের সমৃদ্ধিশালী রাজা বিক্ৰমাদিত্যের অপরিমেয় ধন-ভাণ্ডারের অন্যতম রত্ন । র্তাহার রাজ্যোবসানে, ইহা মালব রাজগণের অধিকারে আইসে। তঁহাদের হস্তে ইহা প্ৰায় ত্ৰয়োদশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত ছিল । তৎপরে দুর্দান্ত আলাউদ্দিন মালবণেশ আধিকার করিয়া, কোহিনূর হস্তগত করেন। যাহা হউক বাবরের সময়ের পূর্ব পৰ্যন্ত কোহিনূর সম্বন্ধে কোন বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস পাওয়া যায় না । ১৫২৬ খৃঃ অব্দে বাবর তৎকালীন পাঠান-বিংশধরকে বিতাড়িত করিয়া দিল্লীর সিংহাসন অধিকার করেন এবং ভাধতবর্ষে বিশাল মোগল-সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করিয়া যান । ঠিক ঐ সময়ে গোয়ালিয়রে বিক্ৰমজিৎ নামে একজন হিন্দু রাজা ছিলেন। দিল্লীর অধীশ্বর পাঠান বংশের শেষ নৃপতি ইব্রাহিম লোদির সাহিত পাণিপথে মোগল-কুলগৌরব বাবরের ভীষণ সংগ্ৰাম হয়। বিক্ৰমজিৎ পাঠানপক্ষ অবলম্বন করিয়া যুদ্ধে পরাভূত ও নিহত হয়েন। পাণিপথের এই যুদ্ধের বার দিন পরে, অর্থাৎ ১৫২৬ খৃঃ অব্দে ৪ঠা মাৰ্চ তারিখে সম্রাট বাবর যে রোজনামচা লিখিয়া যান, তাহাতে একটী মহামূল্য হীরকের উল্লেখ আছে। অনেকে বলেন, এই হীরকই আমাদের চির আদরের কোহিনুর। বাবর লিখিয়াছেন- “এই সময়ে বিক্ৰমজিৎ তাহার পরিবারামণ্ডলীসহ সদলে আগ্ৰা অবস্থিতি