পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (ষষ্ঠ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালদায়ের একডাল দুৰ্গ। Σ. Ο প্ৰকৃত পাণ্ডুয়া আদিনা মসজিদ ও সাতাইশঘরা লইয়া ছিল ; কারণ উক্ত অংশে রাজপ্রাসাদ ছিল। অধুনা যথায় বড়দরগা ( বাইশ হাজারী ) ছোট দরগা ( সাকাহারী ) বৰ্ত্তমান, সেকালে প্ৰকৃত নগরের প্রান্তে ছিল । নগরের উপাস্তবত্তী স্থানে, হিন্দুগণের দেবালয় ছিল, দেবালয়ের ধ্বংস সাধন করিয়াই “মাকদুমশা জালাল উদ্দিন তবরেজি ও নূর কুতবা আলম তাহাদের মসজেদ ও চিল্লা নিৰ্ম্মাণ করান এবং তথায় তঁহাদের বংশীয়গণের ও শিক্ষাসেবকগণের সমাধিস্থান। আজকাল সেই স্থানটিকেই প্রকৃত পাণ্ডুয়া মনে করিয়া সাতাইশঘর নামক রাজপ্ৰাসাদকে একান্ডালা কল্পনা করা হইয়াছে, বাস্তবিক নগরের মধ্যে একডালা ছিল না। যদি তাহাই সম্ভব হয় তবে সমুদায় পাণ্ডুয়াটি একডালা বলিতে হয় । সুলতান হোসেন একডালায় অবস্থান করিতেন এবং প্ৰতিবৎসর একবার পদব্ৰজে পাণ্ডুয়ায় নুর কুতবা আলমের সমাধি মন্দির দর্শন করিতে গমন করিতেন বা উক্ত পীরের সহিত দর্শন করিতেন। উক্ত পীর হোসেনের মুরশীদ ছিলেন । মুরশীদের চিল্লা ( তপস্যার স্থান ) হইতে রাহুটবাক এক ক্রোশের কিঞ্চি” অধিক হইলেও হইতে পারে। এত সন্নিকটে নিয়ত অবস্থান করিয়াও তেঁাহার গুরুদেবকে যে বৎসরে একবার দর্শন করিতে যাইতেন তাহা কি সম্ভব ? সেকালেও ছোটদরগার সন্নিকট দিয়া সাতাইশঘরা যাইবার রাজপথ ছিল । পাণ্ডুয়ার সীমা—অদ্যাপি বালীয়া নবাবগঞ্জের উত্তরে বর্তমান রেলওয়ে লাইনের কিঞ্চিৎ উত্তর পার্শ্বে দিনাজপুর যাইবার রাস্তার বাম ধারে একটি পাথরের ক্ষুদ্র থাম প্রোথিত बाcछ, উহাকে কালুদেও এর শোটা বলে। অদ্যাপি ফকিরীগণ ঐ স্থান তইতে হজরৎ পাণ্ডুয়ার সীমা নির্দেশ করিয়া ভক্তি করিয়া থাকেন। প্রকৃত পাণ্ডুয়া । কালু দেওএর শোটা।