পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (ষষ্ঠ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য । VOQ VO" মধ্যে দুইকড়া কড়ির কাষ্ঠ এবং এক কড়। কড়ির লবণ”কি নিয়া দারকেশ্বর নদীতটে গমন করিলেন । নদীর তীরে অনেক কলাগাছ ছিল । DDDB BDDBD DDSgD DBDBBBBSS SBDK SDBD D DBBBD BD BDS অভিরাম স্বামী চারিজিন বৈষ্ণবকে পাঠাইয়া উপদেশ দিলেন,- যখন শ্ৰীনিবাসের ইষ্টদেবতার ভোগ দেওয়া হইবে, তখন তঁাহারা তথায় উপস্থিত হইবেন । র্তাহারা তাহাই করিলেন, নদীতীরে গিয়া লুকাইয়া রহিপেন, পরে যখন শ্ৰীনিবাস ইষ্টদেবতাকে অন্ন উৎসর্গ করিয়া ভোজনে বসিবার জন্য প্ৰস্তুত, তখন বৈরাগি-চতুষ্টয় “হরেকৃষ্ণ” বলিয়া তাহার সমীপবৰ্ত্তী ইহঁলেন । শ্ৰীনিবাস বড়ই আনন্দিত হইলেন, তাহাদিগকে দেখিয়া, অতিশয় ব্যগ্ৰভাবে সাদর সম্ভাষণ করিলেন, এবং আহারের সময় হইয়াছে আসুন, সকলে মিলিয়া ক্ষুন্নিবৃত্তি কল্পি-বৈষ্ণবেরা তাহাই করিলেন । সেকালে হাটে বাজারে কড়ির প্রচলন ছিল । বৰ্ত্তমান সময়ের পঞ্চাশ বৎসর পূর্ব পর্যন্ত খুচরা কেনা বেচায় কড়ি চলিত। পল্লীগ্রামের হাট বাজার করিতে গিয়া, এখন যেমন আমরা টাক! ভাঙ্গাইয়া পয়সা লই, তখন তেমনি পয়সা দিয়া কড়ি লইয়া পটোল, উচ্ছে, বেগুন প্ৰভৃতি তাঁর তর কারী শাক মাছ কিনিতাম। মুদ্রা আজি কালিকার মত শস্ত ছিল না-চ্যারি পয়সায় একটা মজুর সমস্ত দিন কাজ করিত । পুষ্করিণী খাত করাইবার সময় এক এক ঝুড়ি মাটি তুলিবার জন্য চারিকড়া করিয়া কড়ি দেওয়া হইত। সকল জিনিসই সস্তা ছিল, তাই আচাৰ্য প্ৰভু চারিগাণ্ড কড়ি দিয়া আপনার খাদ্যোপযোগী চাউল কি নিতে পাইয়াছিলেন । প্ৰস্তুত। অন্নে আচাৰ্য্য ঠাকুরের অতিথি-সৎকারের প্রবৃত্তি আছে কিনা তাহা পরীক্ষা করিবার জন্যই অভিরাম স্বামী তাহার নিকট আহার কালে চারিজিন বৈষ্ণবকে পঠাইয়াছিলেন। বৈষ্ণবকে যেরূপ হইতে হয়।