পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (ষষ্ঠ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাচীন মুলতান। VOS sy পুত্র মুলতানে সুৰ্য্যোপাসনার স্বষ্টি করেন। মূলতানের সুৰ্য্যমন্দির তাহার চেষ্টায় নিৰ্ম্মিত বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। এই মন্দিরের নাম আদ্য স্থান। ইহার মধ্যে সুবর্ণনিৰ্ম্মিত এক সুৰ্য্যমূৰ্ত্তি ; যে দেব-দর্শন আকাঙ্ক্ষায় দূরাগত মোক্ষকামী বহু শতাব্দী ধারয়া, ভারতের বহুস্থান হইতে মূলতানে উপস্থিত হইয়াছে ; ইহাই সেই ইতিহাসবিশ্রুত দেবমূৰ্ত্তি । পুরাণের মতে ইহা দ্বাপরের ঘটনা । সুতরাং মুলতান যে প্রাচীন নগর সে বিষয়ে २अझ न्छे । মূলতানের ঐ প্রাচীনত্বের প্রত্যক্ষ প্ৰমাণেরও অভাব নাই। হিকাটিয়োস হিরোদোতস টলেমী প্ৰভৃতি গ্ৰীক ভৌগোলিকগণের বিবরণ হইতেও মূলতানের প্রাচীনত্ব প্রমাণিত হয়। পূর্বেই বলা হইয়াছে, মুলতান নাম আধুনিক । সুতরাং উক্ত ভৌগোলিকগণের গ্রন্থে কোথাও মুলতান নামের উল্লেখ নাই । ইহারা সকলেই ইহাকে কাস্পিরিয়া, কম্পিরিয়াই প্ৰভৃতি নামে অভিহিত করিয়াছেন। প্ৰাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে কশ্যপপুর ব্যতীত “হিংসপুর,” ভাগপুর প্রভৃতি আরও কতিপয় নামের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। এখানে স্বভাবত: এই প্রশ্ন হওয়া আশ্চৰ্য্য নয় যে, তবে কাশ্যপপুর যে, মুলতানের পুরাতন নাম, তদ্বিষয়ে প্রমাণ কি ? যে কারণে পরবত্তী ঐতিহাসিকগণ কাশুপপুর মূলতানের পুরাতন নাম বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন তাহা নিম্নে দেওয়া গেল । টলেমী যে কাশ্যপপুরকেই কাস্পিয়া নামে অভিহিত করিয়াছেন, তাহার বর্ণনাপাঠে সে বিষয়ে সন্দেহমাত্ৰ থাকিতে পারে না। তিনি বলেন যে উক্ত নগর রুভিস (রাভি ) ও সন্দাবাগের (চন্দ্ৰ ভাগা ) সঙ্গমক্ষেত্রে অবস্থিত। ১৩১৮ খৃঃ পৰ্য্যন্ত উক্ত নদী মুলতানের পাদদেশ ধৌত করিয়া যে প্ৰবাহিত হইত, তাহা তাইমুরের ভারত আক্রমণের বিবরণ হইতে অবগত হওয়া যায়। এই নগর টলেমির সময় কাশ্মীর হইতে মথুরাপুরী পৰ্যন্ত বিস্তীর্ণ ছিল। শব্দগত সাদৃশু ও টমেলির ভৌগোলিক