পাতা:ওঠ্‌ ছুঁড়ী তোর বিয়ে - হরিমোহন কর্মকার.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ২ )

নিশি জাগিয়াছ বুঝি বঁধুর লাগিয়ে।
সেই রাগে দিদি! কি গো রয়েছ রাগিয়ে॥
আহা আহা মরে যাই লইয়ে বালাই।
যৌবনের ভাব দিদি! আজো ঘুচে নাই॥
যখন আছিল দিদি! যৌবন রতন।
ভাতারের প্রতি রাগ সাজিত তখন॥
তখন করিতে মান কথায় কথায়।
এখন সে সব কি গো আর শোভা পায়॥
হয়েছ ছেলের মা তা গিয়াছে সে সব।
এখন সুন্দরী বলি আছে মত্রি রব॥
আর কি উন্নত দিদি! আছে পয়োধর।
তবে বল কি দেখিয়ে ভুলিবে নাগর॥
যত বেশ ভুষা কর অসার সকলি।
পদ্ম ত্যজি কেতকীতে নাহি য়ায় অলি॥
অতএব বল বল রমণী রতন।
কি দুখে মনের খেদে হয়েছ এমন?॥
রঙ্গিণীর হাস্য রস শ্রবণ করিয়ে।
কহিছে সুন্দরী সুধা সাগর মখিয়ে॥
সন্তুষ্ট হলেম অতি কথায় তোমার।
জীবন যৌবন গেলে নাহি ফিরে আর॥
রমণীর সার ধন যৌবন রসুন।
যাহার স্বহায়ে হবে পুরুষের মন॥
যাহার স্বহায়ে নারী সুন্দরী বলয়া।
যাহার স্বহায়ে নারী পুরুষে মজায়॥