পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ܔܰܔܔ ) হৃদয়েশের চেহারাটা বেশ দোহারা ছিল ; এবং তিনি রোজই কুন্তি করতেন, তাতে তার পেশীগুলি বেশ স্কুল ও হাত শক্তিশালী হয়েছিল । সর্বদা মুগুর ভাজতে ভাজতে হাত দু'পানি এমন শ্বক্ত হয়েছিল যে সহসা তঁর শরীর দেখে কেউ তা অনুমানই করতে পাৱত না । তিনি রোজ কুস্তিখানায় সন্ধ্যাবেল বায়াম করতেন, এবং ফিরবার মুখে রতন কবিরাজের ডিসপেন্সরীর এক নিভৃত কক্ষে ব'সে খুব তীব্র মদের পুরো দুটি গ্লাস পান করতেন, অবশ্য কবরেজ তঁর সঙ্গী থাকতেন, কিন্তু দ্বিতীয় প্রাণী তা জানতে পারত না । । বাড়ীতে এ সকলেব আভাস কেউ জানত না । তার স্বী সুমতিদেবী জানতে পারলে বিপদের সীমা থাকবে না এবং চাকর-ব্যাকরদের নিকট মান হারাতে হবে-এই অ, শঙ্কায় ব্যাপারটা যতদূর সম্ভব তিনি গোপনেই রেখেছিলেন । দুই প্লাস পান করে, রতন কব রেজের দেওয়া একটা চুৰ্ণ খেতেন — তাতে মুখে বা গন্ধ থাকৃত না । সেদিন মাত্ৰাটা একটু বেশী হয়েছিল, দুই গ্লাসের জায়গায় তিন গ্লাস পান করে চোখ দুটি বেশ রঙ্গিয়ে উঠেছিল ও মনের মধ্যে একটা উদ্দীপনার ভাব এসেছিল-- এই অবস্থায় ৭॥৫ টার সময় যখন ডিস্পেন্সরী ত’তে তিনি বাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন- – তখন তার সঙ্গে . কবুল খাঁ সদার লাঠি হাতে আগে আগে চলেছিল। লাঠির মাথায় তিন চারটা পেতলের আংটি বাধা ছিল, চলার সময় তা হ’তে একটা রুণুঝুণু শব্দ হচ্ছিল। এমন সময় অন্ধকারে আর একজন লোক র্তার পাশ কাটিয়ে যেতে তিনি বলেন “কে ” উত্তর হইল—“কি দাদা SoSR