পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\3 ਲ মধ্যে নীলবৰ্ণ কয়েকটি রেখা আছে। দেবেশ বল্লেন, “আপনারা এ ফুল বোধ হয় দেখেন নি, এটি আমি বঙ্গদেশ হ’তে এনেছি, ইহার নাম “কৃষ্ণপদ”, এই ব’লে ভট্টাচাৰ্য্য একটি ফুল তুল্লেন । দাস্তবিকই, সাদা ফুলের ভেতর যে নীল রেখাগুলি, তা ঠিক ছোট ছোট পায়ের আঙ্গুলের মত। পাঁচটি নীল ছোট বড় রেখা ঠিক পায়েব অ্যাঙ্গলের মত সাদা পাপড়ির উপর ফুটে বা’র হয়েছে, আর একটি বিন্দ পায়েব শেষ দিকটা এ কে দেখাচ্ছে । . সাদার উপর ঠিক যেন পদাঙ্কটি। “কৃষ্ণপদ’ দেখে বা বাজির চক্ষের প্রান্তে একবিন্দু অৰ্শ দেখা দিল । তিনি দেবেশ-দস্তু ফুলটি বহু বিনয়সহকারে মাথার উপরে রাখলেন । দেবেশ এককার মাত্র তার মুখের দিকে তাড় চক্ষে চেয়ে দেখলেন, মুখখানি প্রেম শতদলের মত যেন পূর্ণ ভক্তিতে ভাসছে । বৃদ্ধের প্রতি তার সমস্ত সন্তে যেন কেউ ধুয়ে নিয়ে গেল । তার মনে হ’ল ---লাবাজি প্রক্স তই একজন সাধু ব্যক্তি ! দেবেশ ভঁর বাগানের চারদিকে চারটি একটু দ ড রকমের গাছের উপর লাল রঙ্গের ফুল দেখিয়ে বল্লেন, “ঐ দেেখন “ক্লষ্ণচূড়া” কেমন লাল, যেন গাছগুলির উপর সূৰ্য্য আগুন লর্নগিয়ে " দিয়েছে ।” তারপর একটা ছোট চারার و “ এগুলি আর তামি চিনিনা। -- - এগুলি “কৃষ্ণকলি” ।” এইরূপ নানা কথা দে বেশ বাবাজিকে বলতে লাগলেন । বাপ * জির কৰ্ণে সেই কাকলী যেন অমৃত বর্ষণ করিতে লাগিল । বাগানটি এমন "অপূৰ্ব্ব কৌশলের সঙ্গে সাজান হয়েছিল এবং একদিকে কুন্দ পংক্তি, একদিকে মল্লিকার সা'র এমনই সাদা রঙ্গে শোভা পাচ্ছিল, ও তার ভাশে পাশে মাধবীর লালকুলের পাপড়িগুলি লাল ঠোঁটের মত দেখাচ্ছিল যে মনে হ’ল কোন শুভ্ৰীকণা দেবী W