পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r ফুলের মালা-আমার রোপিত চারাগাছের ফুলের মালা তার গলায় পরিয়ে দিস।” বাবাজি হঠাৎ গান বন্ধ করলেন, দেবেশ যেন স্বর্গভ্ৰষ্ট দেবতার ন্যায় • মাটিতে পড়লেন। বাবাজি বল্লেন, “মল্লিকা ফুলের কথা কৃষ্ণলীলায় পাওয়া গেল।” তারপর গাইলেন, “ওগো কুন্দ যথি জাতিকে —আমােয় শ্যাম দেখিয়ে প্রাণ বাঁচাও গো” কৃষ্ণ বিরহে রাধা প্রত্যেক ফুলের নিকট কৃষ্ণের সন্ধান জানতে চাচ্ছেন। বাবাজি বল্লেন, “পদার্ট কৃষ্ণ কমল গোস্বামীক “রাই উন্মাদিনী’ হতে নেওয়া। কৃষ্ণকমল এই পদটি চৈতন্য প্রভুর উক্ত একটি সংস্কৃত শ্লোক হইতে অনুবাদ করেছেন, সে শ্লোকটি চৈতন্যচরিতামৃতে আছে”। তারপর পূর্ববঙ্গের প্রাচীন কবিওয়াল রামরূপ ঠাকুরের কুটিজ, টগর ও নব মল্লিকা দ্বারা রাধা কিরূপ স্বাসর তৈরী করেছিলেন তার সম্বন্ধীয় গানটি ভক্তির সহিত গাইলেন । এই মিষ্ট করুণ ভক্তির আবেগভরা গানের টুকরাগুলি গেয়ে বাবাজি লল্লেন, - “কোন ফুলে কৃষ্ণলীলার কথা নাই ? এরা যে তারািঠ, তিনি মথুরার ঐশ্বৰ্য্য ভালবাসেন নাই, বৃন্দাবনেতে এই গুলি নিয়েই ছিলেন- এই জন্য এ সকল জিনিষের এমন রূপ, এমন গন্ধ,-এর পরের জন্য হাসে —পরকে সুখী “ করতে জীবন ছেড়ে দেয়-এদের ত अदकब्लट्टे क्रूरु3र्लीवा-प्रश्न ।” দেবেশ স্তব্ধ হয়ে বাবাজির কথা শুনলেন, বাবাজির হৃদয়টি ফুল বনে গিয়ে যেন নিজের স্বগণ দেখতে পেলে। তার এই ভক্তি দেখে দেবেশ তাকে ধ’রে বাগানের অপর এক জায়গায় নিয়ে গেলেন । এবার বাবাজি সন্তাই দেবেশের কৃতিত্বে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। দেখলেন, প্রায় দুষ্ট বিঘা জুড়ে সাদা রঙ্গের মকমল বিছান রয়েছে, সেই মকমলের ধাবে ধারে নীলপদ্ম, লালপদ্ম-ল তায় বিজড়িত | মধ্যে রাধাকৃষ্ণের যুগলৰূপ, কানু রাইকে বাঁশী বাজাতে শিখাচ্ছেন। এগুলি Ե*