পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( \ප ) দেবেশ বাবুর একজন আত্মীয় একটা অভ্রের খনির মালিক ছিলেন, তিনি উত্তর পশ্চিমে সেই খনির কারবার করতেন। প্রথম প্ৰথম বিস্তর লাভ হইয়াছিল, কিন্তু একজন প্ৰতারক কৰ্ম্মচারীর দোষে কারবারটিতে শেষে বিস্তর লোকসান হয় এবং অবশেষে তিনি উক্ত উঠিয়ে দিয়ে এক ভিন্ন কাববার আরম্ভ করেন। এখন তিনি বিপুল সম্পত্তির অধিকারী। কতকগুলি অভ্র তার কারবার গৃহের একটা জায়গায় “ভাম’ হয়ে পড়েছিল, ইচ্ছা করলে তিনি তাহা বিক্রয় করে ফেলতে পারতেন। কিন্তু স্থা প্রখনির কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে তখন একজনও ছিল না, সুতরাং যাচাই ক’রে দরে বিক্রয় করা তার পক্ষে সুবিধাজনক হবেন, এই ভেবে দি বেশের সেই ধন্যবান আয়ীয়টি তা” বিক্রয় করিবার চেষ্টা করেন নাই । সম্প্রতি তিনি বাড়ী এসেছিলেন। তিনি দেবেশের স্বাগ মািট দেখে ভারী খুন্সী হয়ে তাকে বল্লেন, “দেবেশ, আমার কতকগুলি অল পড়ে আছে, তা চেষ্টা করলে বেশ বিক্রয় করা যেতে পারত, : সা গুলির দর হাজার টাকা হাঁতে পারত, কিন্তু আমি • আর্টের খনির কৰ্ম্ম চীগুলিকে বিদায় ক’রে দিয়েছি ; হয়ত পাইকার সেগুলি দুই একশ টাকা দাম ব’লবে। ভাল করে পরিষ্কার ক’রে ফেলে শেষে বিক্রয় করলে এখনও বেশ দর পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু আমি এই ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আব্ব চেষ্টা করতে চাইনা । তুই এই আভগুলি নিবি ? কি করে পরিষ্কার করতে হয় আমি শিখিয়ে দেব। খুব যত্ন করে পরিষ্কার করার পর যেরূপ দাঁড়াবে,বাজারে তা' দুটি হাজার টাকার নীচে ৰিনতে পারুবি না । তোর বাগানেৰ সাজসজ্জার যদি লাগে, তবে সন্তুষ্টচিত্তে আমি তোকে অভিগুলি মালগাড়ীতে ক’রে পাঠিয়ে “দেব।” SS