পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ea) এদিকে হৃদয়েশের ছেলেট বেশ বড় হয়ে উঠল, তার নাম হ’ল, রমেশ । সেই ছােট ছেলেটিকে ভগবান একটা বিশেষত্ব দিয়ে পাঠিয়ে ছিলেন, তা, তার অদ্ভুত পিতৃস্নেহ। পাঁচ বছরের ছেলে যেন প্ৰাপকে চােখে হারাত । হৃদয়েশ যেখানে যাবেন, সে সেখানে যাবেই ! সুতরাং কুস্তির আডিডায়, কবিরাজের বৈঠক খানায় সৰ্ব্বত্র সে ছায়ার মত বাপের পাছে পাছে যেত। দিনের বেলায় হৃদয়েশ ঘুমোচ্ছেন, ছেলেটী দিনে মােত না, সে দেরাজ থেকে একটা উড, পেনসিল পার কবে একটা খাতায় নানারূপ লিখে যেত। নিঃশব্দে দুই ঘণ্টা একাদিক্ৰমে লেখা চলত, তার জন্য দপ্তরী সপ্তাহে একখানি খাতা তৈরী ক’রে এনে দিতে { অবশ্য তার লেখা এ পৰ্যন্ত কোন পণ্ডিত পড়ে উঠতে পারেন নাই । হৃদয়েশ এই লেখাগুলি রমেশ বাবুর “রায়” (judgment ) নাম দিয়েছিলেন ? মাঝে মাঝে পাড়ার ছেলেরা এলে রমেশ তাদের সঙ্গে বাইরের আঙ্গিনায় ছুটাে ছুটি করে খেলত। একদিন হৃদয়েশ বল্লেন, “বাব, যার তার সঙ্গে খেলা করতে নাই। ওদের কেমন হেঁড়া ময়লা কাপড়, কারু। কারু পায়ে জুতা নাই, ওরা গবীব, ওদের সঙ্গে কি মিশতে আছে ।” এ শুনে একদিন রমেশ কঁাদ *** হয়ে বল্লে, “বাৰু, ওই যার কাপড় খুব ময়লা, চুলগুলি জটার মতন-ও বড় ভাল ছেলে, বড় সুন্দর স্বভাব, আমায় বড় ভালবাসে, বাবা । হরিদাসদের বাড়ীতে যে বড় বড় নারকেলী SSNo