পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९<9>टिन्ड एटाटङना একটা ঘরে নিয়ে বল্লেন, “হরিদ্বার থেকে মানস সরোবরে যাবার সময় আমাকে একজন সন্ন্যাসী যক্ষ্মা রোগের একটা ওষুধ শিখিয়ে ছিলেন, তা' যা’কে দিয়েছি, সেই আরাম হ’য়েছে—আপনি চান কি ?” “আমার - এখন জীবন মরণ-তুল্য মনে হচ্ছে, তবে দিন, একবার ঔষধ খেয়ে যদি দু’টি দিনের জন্যও”-কিশোর এই ব’লে কেঁদে ফেলেন। “বুঝেছি বাড়ী গিয়ে আপনার ধারা—তাদের দেখবেন। তা” চোখের জল ফেলবেন না।---আমি ঔষধ দিচ্ছি, আপনি ভাল হ’য়ে যাবেন, আপনি কি অর্থাভাবগ্ৰস্ত ? ব’লতে লজ্জা বোধ ক’বৃবেন না, মঠের টাকা দরিদ্রের জন্য ।” কিশোর রায় হেসে বল্লেন,--“আর্থের দরকার নেই, ঔষধটি দিন ।” সাধু একটা থলে থেকে একটা শেকড় পার ক'রে বল্লেন, “এইটি তিন ভাগ ক’রে কেটে নিয়ে এক এক ভাগ প্ৰাতে শিশিরেব জলে মেড়ে የመ~ 『 খাবেন । তিন দিন খেলে আরাম হ’য়ে যাবেন ।” ঔষধ নিয়ে কিশোর রীয় উঠলেন, এবং সাধু দেখলেন, সাচ্চ জরোয় পোষাক পরা, খাটি রূপার লাঠি হাতে ৪ জন সেপাই এই রুগ্ন ব্যক্তিটিকে ধরে একটা বড় মটর গাড়ীতে তুলে নিল। গাড়ীখানা একটু দূরে অপেক্ষা কছিল। নিজে ময়লা কাপড় প'বে উষ্ণু খুন্ধু মুখে দীন ভাবে সাধুর কাছে এসেছিলেন—সুতরাং সাধু এ কে দরিদ্র বলে মনে করেছিলেন ।