পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাক্সের ड्>८व्या আমার ? কে আমার কাছে জ্ঞানদার মত রূপ নিয়ে আসবে ? এত যে কষ্ট দিচ্ছে, তবু ওর মুখখানি যেন স্নেহের খনি, ওর কপালের ধারে ধারে কেঁকড়ান চুল, স্নেহকরুণা গঠিত অধৱ,-এ যে আমার মনের নন্দনকানন ; সহস্ৰ অত্যাচারের ঝটিকাও যে আমার এই আশ্রয় ছিন্ন করতে পারে না । আর কেউ এইরূপ আশ্রয় হ’য়ে এস, এরূপ স তা হ’য়ে এস, আমি তার পায়ের, তলায় মাথা বিকোব-তাকে চােখে চােখে রাখৰ, উপোস করে, ব্ৰত ক’রে, কঠোর করে তার আরাধনা করব। আরাধ্য কেউ এস, আমার মনের কেল্লা জোর করে দখল কর, ঘেরূপ জ্ঞানদা করেছে।” যুক্ত করে কিশোর এই প্রার্থনা করতে লাগলেন। হঠাৎ সিন্দুরতলায় তঁর পিতৃ পুরুষ প্ৰতিষ্ঠিত দেব-দেবীর কথা মনে পড়ল । সেখানে কি কোন শান্তি পাওয়া যেতে পারে ? এমন সময় বড় দুঃখে আর একটি কথা স্মৃতিতে উপস্থিত হ’ল । “একদিন যে সাধু পুরুষ "আমায় আসন্ন মৃত্যু হ'তে রক্ষা ক’রেছিলেন— তঁাকে গিয়ে বলি, যে ভরা নদীব জলে ভুলতে ডুব তে আপনার কৃপায় রক্ষা পেয়েছিল—তা বে। আবার ডুবেদার মুখে,-এবার কি রক্ষা করবেন না ?” সেই সাধুর কথা ভারি মিষ্ট, প্রায় ৮/৯ বৎসর চলে গেছে, কিশোর রায়ের স্মৃতিতে তার মুখখানি এখনও স্পষ্টরূপে আঁকা ছিল। তিনি মনে করলেন, “আর কোপা ও জুড়োবাব স্থান নাই, আমি তার কাছেই যাব।” এই সংকল্প স্থির করে। পরদিন বৃন্দাবন রওনা হ’য়ে গেলেন।