পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার আজ একাদশী, একবেল কিছু ফল টল খাই তা’ হ’য়ে গেছে। এখন তুমি আমি দুজনে এই ঘরেই রাত কাটিয়ে দেব!” তখন কিশোর রায় কিছুকাল চুপ ক’রে রইলেন। যে কথা কাউকে বলেন নি, যা” মনের ভিতর পুষে রেখে এ পৰ্য্যন্ত দুঃপে নিজে দগ্ধ হ’য়েছেন অপর কাউকে জানতে দেননি,-সেই কথা বলবার পূৰ্ব্বে তিনি বর্ষনোপ্তত মেঘের মত স্থির হ’য়ে রইলেন । তারপর প্রথম হ’তে সকল কথা বাবাজিকে বল্লেন, সেই কথা বলতে গিয়ে কতবার কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে এর্ল, কতবার চোখের একবিন্দু অশ্রু মুছতে আরও শতবিন্দু অশ্রু গাণ্ড প্লাবিত ক’রে ফেল্পে, কতবার বাবাজির হাতখানি নিজের বুকের উপর টেনে এনে নিজ হাত তার উপর চেপে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কঁদতে লাগলেন, কতবার ব্যর্থ অ্যাশার কথা বলতে গিয়ে মন ব্যথিত হ’য়ে উঠল, তা” বলে শেষ করা যায় না । প্ৰাণে বড় ব্যাথা পেয়েছেন, ভালবাসার এই শান্তি । যিনি মানুষকে ভালবাসা শিখুতে এসেছিলেন, তাকে মানুষেরা বুকে পিটে হােত পায়ের কিজিতে শেল বিধে মেরে ফেলেছিল। ভালবাসার এই শাস্তি । এত দুঃখ পেয়েও ত’ একবার ভালবেসে কেউ মনটা ফিরিয়ে আনতে পারে না। ৰাবাজিকে সকল কথা ব’লে কিশোর রীয়ৈর মন অনেকটা হাল্কা হ’য়ে গেল। তঁর কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক হ’ল । চক্ষু নিৰ্ম্মল হ’ল । উপসংহার কালে তিনি বাবাজির পায়ের উপর হাত রেখে বল্লেন “আমার জীবন একবার রক্ষা ক’রে ছিলেন, অনেক সময় মনে ভেবেছি এ জিনিষটা কেন রাখলেন—এত দুঃখ সইবার জন্য বাঁচবার কি দরকার ছিল ? এখন জ্ঞানদায়িনীকে নিয়ে কি ক’রৰ,বলুন ? ছাড়তে চেষ্টা ক’রে ছেড়ে থাকতে পারি নি। কাছে রেখে সোস্নাস্তি পাই না, দুয়ে গেলে পাগল হই। ঐ জানেল দিয়ে চন্দ্ৰদেব উকি মেরে দেখছেন, তঁকে সাক্ষী ক’রে বলছি, আপনি যা বলবেন, তাই কাৰ্বতে চেষ্টা পাব। বিষ পান কৰা অতি সহজ, SC.