পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vsottola vertcert উত্তেজনা দেখতে পেলেন। যদিচ কথাগুলি ঠিকঠাক ৰলেছেন—তবু কথা বলবার ভঙ্গীতে মনের যে ভাবের আভাস ছিল, তা যেন স্বাভাবিক অবস্থার ফল নহে। নিজেকে ভুলিয়ে রাখবার জন্য যেন ৰাজাবাবু মনোযোগটা একদিকে সজোরে টেনে নিচ্ছেন্নু, এইরূপ বোধ হ’ল । সে দিন বৈঠকখানায় এসে কিশোর রায় শুয়ে গড়ে রইলেন । চাকরীদের মধ্যে একজন এসে খাবার কথা বল্ল, তিনি খেতে গেলেন না । ১টার পর শোবার জন্য পুনরায় তাগিদ এল তিনি আর অন্দরে ঢুকলেন না। পরদিন দিদিমাকে ডেকে বলেন “দিদিমা আমি বৃন্দাবন থেকে দীক্ষা নিয়ে এসেছি, একবছর আমাকে স্বপাক শুধু আলুভাতে দিনে একবার খেতে হবে । ঠাকুর ঘরের সংলগ্ন যে ছোট ঘরটি আছেসেখানে উনুন করে রেখ, আমি বেলা একটা দুইটার সময় নিজে রাধাব। তুমি আমার রান্নার জোগাড় দিবে।” দিদিমা ত হেসেই খুন“তুই সন্ন্যাসী হ’য়ে বের হ’য়ে যাবি নাকি ? তবে জ্ঞানদাকে পাহারা দেবে কে ? তুই মনে করেছিস্ তুই আলোচাল আর বেগুন কি আলুভাতে খেলে জ্ঞানদা দুঃখে মরে যাবে, ও সেও উপোস করতে থাকবে, বউটি তেমন নয় রে যাওঁ । সে যেমন খায় তেমনই খাবে, যেমন হাসে তেমনই হাসবে, যেমন চুল বঁধতে তিনটা দাসী নিয়ে ৫শিশি সুগন্ধ তেল, তের গণ্ড ফিতে ও পাউডার নিয়ে ৩টা হ’তে ৫টা পৰ্য্যন্ত ধস্তাধস্তি করে, তেমনটি করবে, মাঝ থেকে তুই উপোস করে মরুবি । তুই যত কৃশ হ’তে থাকৃবি, তার দেহের লাবণ্য তত বাড়বে। যদি বঁড়াষের মেয়েটি বিয়ে করতিস-তবে দুই সতীনে তোকে আদর দেখাতে আড়াআড়ি করুত । এখন ছাইয়ে জল ঢেলে কি কারবি !” কথাগুলি শেলের মত কিশোর রায়ের মােন বিধতে লাগল, তিনি কঁাদ কঁাদ স্বরে দিদিমাকে বল্লেন :- NC 69 O.