পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সময় জেনে তাড়াতাড়ি উঠে তার কাছে চলে গেছেন। আশ্রমবাসী সন্ন্যাসীরা তঁাকে শ্রদ্ধা করত, অথচ তার জীবন যে কোন দুর্ভেদ্য প্ৰহেলিকা জড়িত, তা বুঝতে পেরে জানিবার, জন্য কৌতুহলী হ’য়ে থাকৃত । আর একটি আশ্চর্ঘ্যের বিষয় এই দেখা গেল যে তার আগমনের পর থেকে মাঝে মাঝে অজ্ঞাত নাম ধাম কোন ব্যক্তি প্ৰায়ই সেই আশ্রমে ডাক যোগে টাকা পাঠাতেন, এই ভাবে প্রচুর অর্থ আসতে লাগল। কোন রুগ্ন বৃদ্ধ, যুবক বা স্ত্রীলোক যদি তাদের বাড়ীর আর্থিক দুৰ্গতির কথা ব’লে আক্ষেপ করতেন, তবে শেষে জানতে পারতেন, কেউ তাদের সাহায্যের জন্য নিজের নাম গোপন ক’রে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন । এই ভাবে প্ৰায় দু বছর কেটে গেল । এই হু বছর কৰ্ত্তব্যের যন্ত্র স্বরূপ রাত দিন কিশোবানন্দ রোগীর পরিচর্য্যা করেছেন । এই দুই বছর তিনি সন্ন্যাসীদের কথাবার্তা কি আশ্রম সম্বন্ধীয় কোন তত্ত্ব জানবার জন্য কোন কৌতুহল দেখান নাই। এই দুইবছর তিনি কাহারও সহিত মেশেন নি,-কাঠারাও কোন কথায় থাকেন নাই, তথাপি সকলে জানতেন, বিপৎকালে ইনি যতটা করবেন, আর কেউ ততটা করবেন না । জলের ফোটা যেরূপ তার সবখানি কচু পাতার উপর রেখে নিজেকে ‘তবুও আঙ্গা ক’রে রাখে, কিশোরানন্দ তার সবখানি চেষ্টা সেইরূপ সেবা কাৰ্য্যে বিলিয়ে দিয়েও যেন নিজেকে নিলিপ্তি রাখতেন। to 3