পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( s ) এর মধ্যে হৃদয়েশের স্নেহ ক্রমশষ্ট বেড়ে উঠেছে। একদিন রাজনারায়ণ বাবু (তার এক কৰ্ম্মচারী) দেবেশকে নির্জনে বল্লেন, “শুনেছি, আপনি যে ঘর খানায় শয়ন করেন, তার ছাদ দিয়ে নাকি জল পড়ে । ছেলে নিয়ে বড় কষ্ট পান, আমাদের বাবু সৰ্ব্বদাই দুঃখ করেন।” দেবেশ একটু হেসে বল্লেন, “পুরানা বাড়ী, ছাদের একটা জায়গা দিয়ে জলপীড়ত বই কি ? কিন্তু আমি তা” বন্ধ করে দিয়েছি। গেল। বর্ষায় আর জল পড়ে নি ।” রাজনারায়ণ • • • • • “কি করে বন্ধ কল্লেন ?” দেবেশ • • • • • “খানিকটা সুরকী, চুন ও বিলাতী মাটী একত্ৰ ক’ৱে, সুরকীগুলি খুব ভাল করে গুড়ো করে, সবটা মিশিয়ে একটা চূৰ্ণ তৈরী করা গেল। তাম্পর ঘুটে গুড়ো করে তার সঙ্গে মেশান হ’ল। এই মসলাটা চিরের মুখে খাইয়া দিলেম, ও ঘষে ঘষে এমনি ভাবে ছাদের সঙ্গে মিশিয়ে দিলেম যে চিরটা আর টের পাওয়া গেল না । তাব।পর ৩৪ দিন রো'দ লেগে সেগুলি এটে গেল । গেল। বর্ষায় এক ফোটাও জল श्रद्ध नेि ।' রাজনারায়ণ” , “ঐ ভাবে কি আর ছাদ মেরামত হয় ? পুরােনা ছাদটা ফেলে দিয়ে নূতন একটা গড়তে হবে। এ তালির কৰ্ম্ম নয়, তালিতে দুই একবৎসর চলতে পারে, তার পর যেমন ফ্যাক তেমনই ফাকে !” দেবেঙ্গ, , , , , ,“তা আর কি করব বল ভাই ? ছাদ ফেলে দিয়ে ছাদ গড়তে গেলে যেমন তেমন করে ৩০০/৪০০ টাকা খরচ পড়ে।” NOCs