পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা বড় ছাতা ধ’রে গোসাঁইজির ঘােড় নাড়ার সঙ্গে রোগটা ঠেকিয়ে রাখতে গলদঘৰ্ম্ম হ’য়ে যাচ্ছে। একজন শিষ্য এগিয়ে এসে বন্নে৷ “এই ষে সাধুবাবা বাগানে বেড়াচ্ছেন।” দুটি পা ফাক ক’রে রেমে গোসাই সেখানে দাড়িয়ে পড়লেন । দাড়িয়ে কানাই বাবাজিকে আপাদমস্তক লক্ষ্য করতে লাগলেন । ভারতের মানচিত্রের কাছে দাড়িয়ে শিক্ষার্থী যেরূপ হিমালয় হ’তে কুমারিকা পৰ্যন্ত সকল রাজ্যের উপর একবার চোখ বুলিয়ে যায় - এ পরিদর্শন তদ্রুপ। রেমে গোঁসাই কিছুকাল ধ’রে বাবাজিকে দেখছেন ; বাবাজি “ক্লষ্ণপদ” ফুল দুটি বুকে রেখে তঁর কৃষ্ণের কথা ভাবছেন । দুইজনষ্ট স্থির চিত্রপটের ন্যায় । খানিকক্ষণ পরে বাবাজির মনোযোগ গোসাইয়ের প্ৰতি পড়ল ; তিনি দেখলেন গোসাইজি, হা করে তঁাকে দেখছেন । মৃদুভাবে একটু হেসে তিনি বল্লেন, “গোসাইজি আমীয় দেখে যে অবাক হ’য়ে পড়েছেন, বাস্তবিক আমার মধ্যে যে এত বড় একটা দর্শনীয় জিনিষ থাকতে পারে যে আপনার মত সন্ত্রান্ত ব্যক্তি এতক্ষণ ধ'রে তা” দেখতে । পারেন, এটা আমার ধারনাই হন্ত না’ গোসাইজি থামত খেয়ে বল্লেন, * শুনেছি আপনি একজন বড় সাধু, আমি সাধু দর্শন করতে এসেছি, আপনার মুখে চোখে কোন অলৌকিক শক্তির প্রভাব আছে কি না, দু মিনিটকাল তাই দাড়িয়ে দেখছিলাম।” “অবশ্যই কিছু পেলেন না, যদি কিছু সে রকমের থাকতো। তবে অবশ্য ধরা পড়ে যেত।” এই বলে বাবাজি পুনরায় একটু মৃদু হাসলেন। তারপর অতিশয় আদরের সহিত গোসাইজি ও র্তার পরিকরবৃন্দকে নিজ ঘরে নিয়ে এলেন। সেই গ্রামবাসী হরিচরণ দাস তন্তুবায় গোসাঁইয়ের শিষ্য। সে টিকিট দুলিয়ে, ডানহাত বার করে, সম্রামের আধিক্যে পিঠটা অনেকটা নুইয়ে, অঙ্গুলি নির্দেশপূর্বক বলে, “বাবাজিঠাকুর, ইনি 2