পাতা:ওপারের কথা.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারের কথা ১৯১ দিবা হয় বা অন্ধকারের পর আলো হয়, তেমনি জড় । ছাড়লেই চৈতন্য এসে ফ্যাক্স। খাটি চৈতন্তে ক্রোধ, ঈৰ্য্যা, কুৎসা, দম্ভ, আলস্য, অসত্য, অধৈৰ্য্য, অভাব, অশান্তি, ‘হায় হায়’ বা মন-মরাভাব, ‘আমি তুমি’ বা মায়া-মোহ নেই ; আছে কিন্তু-চির-সুখ, চির-শান্তি, চির-আনন্দ ও চির-জীবন। জড় মিশ্ৰিত চৈতন্যে বেশীমাত্রায় অগুণ আছে। খাটি চৈতন্যকে । আজম বা ভগবান বলে । জড় মেশান চৈতন্যকে মন বা মানুষ বলে । মানুষের কাজ ‘মন’কে আত্মজা করা । মন ‘আত্মা’ হয় এই এই গুণের দৌলতে :- ১ । এ জগতের ভাবনা ও বাসনা বৰ্জন করা । ২ । সত্য কথা বলা । ৩। কারুর কথায় না থাকা-অৰ্থাৎ ক্ৰোধ, ঈৰ্য্যা ও কুৎসাকে বৰ্জন করা । ৪ । দুঃখগুলোকে সুখের কারণ মনে করা । ৫। যার যা কাজ প্ৰাণ ঢেলে ও হাসিমুখে সাধা। : ৬। দেহ,মন ও সংসার ইষ্টের-এই ধারণা রাখা, অর্থাৎ - একখানি আদর্শ পুরুষের ছবিকে আপনার “আত্মা’ ও ‘মন’ । ঠাউরে, জাগতিক ও পারলৌকিক কােজ সাধা। : ৭ । “আমি” “আমার’ বুলিগুলো যথাসম্ভব জলাঞ্জলি দেওয়া। ৮। নিজ নিজ দেহগুলোকে তার বৈঠকখানা ভেবে। কোন কোন গুণ থাকলে are is