পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ | - - - ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। একই কারণে অভিযানােদ্যত হনরী ও তদীয় বীরপুত্র এডওয়ার্ডকেও পদে পদে শৃঙ্খলিত ও পদে পদে পরাজিত হইতে হইয়াছিল। কৃষক ও শ্রমােপজীবী ও তাহাদিগের উপভােজ্য ভূমি—সামন্তদিগের অধীনে থাকায় তাহারা যখন ইচ্ছা—তখনই রাজাকে আয়ত্ত করিতে পারিতেন। কিন্তু ইংলণ্ডে এই সংঘর্ষে অমৃত ফল ফলিল। ইংলণ্ডে এই রাজসামন্তসংঘর্ষ হইতেই প্রজাতন্ত্র শাসন-প্রণালীর উৎপত্তি। কিন্তু ভারতে ও স্কটলণ্ডে এই সংঘর্ষের পরিণাম জাতীয় পতন। ১০৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দে বিজয়ী উইলিয়ম কর্তৃক ইংলণ্ড বিজয়ের পর প্রায় সার্ধ দুই শতাব্দী কাল ধরিয়া সান সামন্ত ও পুরােহিতগণ ভূমি লইয়া ক্রমাগত নৰ্মান রাজবৃন্দের সহিত যুদ্ধে নিমগ্ন হন। ইহার। দুর্দমনীয় রাজ্য-লালসার বশবর্তী হইয়া এই দুই শতাব্দী কাল কেবল ওয়েল, আয়ল ণ্ড ও স্কটলও প্রভৃতি প্রত্যাসন্ন রাজ্যসকলকে ইংলণ্ডের অন্তভুক্ত করিতে লােলুপ হন। সুতরাং তাহাদিগের অর্থ ও সৈন্যেব বিশেষ প্রয়ােজন হয়। বিরক্ত সামন্তগণ তৎপ্রদানে অস্বীকৃত হওয়ায়, নৰ্মান রাজবৃন্দ তাহাদিগের ভূমি-সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপ করিতে সমুদ্যত হন। কিন্তু কৃষক ও শ্রমােপজীবী—ৎকালিক জাতীয় সেনার অদ্বিতীয় উপাদান—সামন্তগণের অব্যবহিত অধীনে থাকায়, ইংলণ্ডেশ্বরগণ তাহাদিগকে অবসন্ন করিয়া উঠিতে পারিলেন না। অবশেষে তাহারা আপনাদিগের ভ্রম বুঝিলেন। তাহারা দেখিলেন গৃহে বিবাদ থাকিতে তাহাদিগের বাহিরে বিজয়ের কোন আশা নাই। এই সকল ভাবিয়া ইংলণ্ডেশ্বব জন ১২১৫ খ্রীষ্টাব্দে ইংলণ্ডীয় প্রজাবৃন্দকে মহতী স্বত্বপত্ৰী (Magna charta) প্রদান করেন। এই স্বত্বপত্রই ইংলণ্ডে প্রজাসাধারণের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মূলভিত্তিস্বরূপ । এই স্বত্বপত্র পাইয়া সান সামগণ এখন হইতে সন্তুষ্ট চিত্তে রাজার অনুবর্তন করিতে লাগিলেন। কিন্তু তৃতীয় হেনরী পিতা জনের সিংহাসনে অধিরাে- হণ করিয়া পিতৃ-দত্ত স্বত্বসকল হইতে প্রজাগণকে বিচ্যুত করিতে কৃত সঙ্কল্প হইলেন। তাহার পরিণাম আমরা পর্বেই উল্লেখ করিয়াছি--তিনিও তৎপুত্র প্রথম এডওয়ার্ড লণ্ডন টাওয়ারে অবরুদ্ধ হন। সেই সময়