পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের ফান্স-যাত্রা। ওয়ালেস সেই সকল অস্ত্রধারী পুরুষ লইয়া দুগৰাররক্ষক প্রহরিগণকে আক্রমণ করিলেন। প্রহরীরা হত হইলে, দুর্গদ্বার সম্পূর্ণরূপে তাহাদিগের হস্তগত হইল। ইত্যবসরে সার জন্ রাজে অবশিষ্ট স্কচ সৈন্য সঙ্গে লইয়া দুর্গমধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন। অচিরকাল-মধ্যে দুৰ্গৱক্ষক সমস্তু ইংরাজসৈন্য হত হইল, অথবা পলায়ন দ্বারা প্রাণ চাইল । কতকগুলি টে নদীর জলে গিয়া ঝাপ দিল। দুগাধ্যক্ষ সার জন্ সিউড অতি কষ্টে মেথডেন্ অরণ্যে গিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। সৰ্বশুদ্ধ চারি শত ইংরাজ হত হয়। সাত কুড়ি মাত্র ইংরাজ পলাইয়া প্রাণ বাঁচায়। ওয়ালেস্ সার জন র্যাজেকে ক্যাপ্টেন ও কথভেন্‌কে সেরিফ নিযুক্ত করিয়া ফাইফ অভিমুখে যাত্রা করিলেন ; বলিয়া গেলেন যে, যদি ইংরাজের ইতিমধ্যে আক্রমণ করে, তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ যেন তাহার নিকট সংবাদ প্রেরণ করা হয়। স্কটের। সেন্ট জষ্টনে যে প্রচুর দ্রব্য সামগ্রী পাইয়াছিলেন, তাহাতে কিছুকাল সুখে সচ্ছন্দে কাটাইতে লাগিলেন। এদিকে ওয়ালেস ফাইফ-অভিমুখে যাত্রা করিয়াছেন শুনিতে পাইয়া সিউয়ার্ড পঞ্চদশ শত সৈন্য লইয়া ব্ল্যাক আয়রন সাইড নামক স্থানে তাহাদিগের জন্য প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। সৈন্যের সংখ্যা-বৈষম্যে স্কটের প্রথমে অতিশয় ভীত হইলেন। তাহার সেন্ট জষ্টনেও সংবাদ পাঠাইতে পারিলেন না—কারণ ইংরাজের পথ সংরক্ষণ করিতেছিলেন। এই অবস্থায় ওয়ালেস একটী সমর-সভা আহ্বান করিলেন। সভায় নানা প্রকার তর্ক বিতর্ক হইল--অনেকে অনেক প্রকার মত বলিলেন, কিন্তু ওয়ালে বলিলেন যে, প্রাণপণে যুদ্ধ করা ভিন্ন আর উপায়ান্তর নাই। অনেক বিতণ্ডার পর ওয়ালেসের মতই গৃহীত হইল। ওয়ালেসের সৎ সাহসে উদ্দীপিত হইয়া স্কটেরা যুদ্ধে জয়লাভ করিবার জন্য কৃতসঙ্কল্প হইলেন। তাহারা বন-মধ্যে প্রবেশ করিয়া চতুর্দিকের বৃক্ষান্তরাল সকলে বৃক্ষশাখা পুতিয়া একটী সুদৃঢ় স্বাভাবিক দুর্গ করিয়া লইলেন। দুগ সমাপ্ত হইতে না হইতে সিউয়ার্ড সসৈন্য