পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের ফুন্স-যাত্রা। ১১৯ শক্তহস্ত হইতে মুক্ত করিয়াছেন, এইবার তিনি জন্মভূমির নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া ফ্রান্স যাত্রা করিবেন। তথায় গিয়া যেরূপে হউক জীবনের অবশিষ্ট দিন কাটাইবেন। পালেমেণ্ট তাহাকে এ উদ্যম হইতে নিবৃত্ত হইবার জন্য বার বার বৃথা অনুরােধ করিলেন। ওয়ালেনের সঙ্কল্প বিচলিত হইবার নহে। ওয়ালেস দেখিলেন যত দিন স্কটলবে রাজসিংহাসন লইয়া সামন্তবর্গের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা থাকিবে, যতদিন স্বার্থান্ধসঙ্কীর্ণচেতা জমিদারেরা তাহার প্রতি অসুয়াপরতন্ত্র থাকিবেন, যতদিন স্কটলণ্ডের প্রকৃত রাজা ক্ৰস আত্মখ্যাপন করিবেন, ততদিন স্কটলণ্ডকে চিরস্থায়িরূপে শক্ৰহস্ত হইতে মূক্ত করা অসম্ভব। সুতরাং তিনি স্বদেশে থাকিয়া স্বদেশের বার বার অধঃপতন দেখিতে অক্ষম। যদি কখন দিন আইসে, আবাব স্বদেশের উদ্ধারের জন্য অস্ত্র গ্রহণ করিবেন। এই বলিয়া ওয়ালেস্ পালেমেন্টের নিকট বিদায় গ্রহণ কবিয়া সালােচনে অষ্টাদশ মাত্র সহচর সমভিব্যাহারে ফ্রান্স যাত্রা করিলেন। স্কুটুলণ্ডের সুখসূৰ্য্য কিছুকালের জন্য অস্তমিত হইল। | যে অষ্টাদশ জন লােক ওয়ালেসের সঙ্গে গমন করিনে তাহা দের মধ্যে লঙ ভিল, সাইমন, রিচার্ড ওয়ালেস, সার, টমাস, গ্রে, এওয়ার্ড লিটিল, জপ, ও বের, প্রধান। এই সেচ্ছানির্বাসিত বীরদল কতিপর বণিক সমভিব্যাহারে ডণ্ডীবন্দরে জাহাজে উঠিলেন। জাহাজ ইংলণ্ডের উপকূল বহিয়া চলিতে লাগিল। অদূরে লোহিত পালরাজি-বিরাজিত ব্যাঘ্ৰধ্বজ একখানি জাহাজ সহসা দৃষ্টিগােচব হইল। বণিকগণ জানিত এ কাহার জাহাজ। তাহারা ওয়ালেসকে বলিল যে এ 'লীনের জনের জাহাজ। এই দুর্দান্ত ইংরাজদস্থ স্কটলওরাসীকে বধ করা পুণ্য বলিয়া মনে করিত। দেখিতে দেখিতে জন, ওয়ালেসের জাহাজের পার্শ্ববর্তী হইল । আসিয়াই সে ‘যুদ্ধ? দেহি’ বলিয়া স্কটগণকে যুদ্ধার্থ আহ্বান করিল। সেই আহ্বানের প্রত্যুত্তরে রেয়ারের ধনু হইতে তিন শর প্রক্ষিপ্ত হইল। এক এক পরে এক এক জন ইংরাজ নিহত হইল। ইংরাজের ক্রোধােন্দীপ্ত