পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। ফরাশিরাজ ইহার গূঢ় রহস্য উদ্ভাবনে অসমর্থ হইয়া ওয়ালেসকে সবিশেষ জিজ্ঞাসা করিলেন। তাহার মুখে শুনিয়া সেই দুই পাপিষ্ঠের দুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিলেন। তিনি সবিশেষ পীড়াপীড়ি করায় তাহারা আপনাদিগের দোষ স্বীকার করিল। ফরাশি রাজ তৎক্ষণাৎ তাহাদিগের প্রাণদণ্ডের আদেশ করিলেন, এবং ওয়ালেসের গাত্র স্পর্শ আর কেহ করিতে না পারে তজ্জন্য বিশেষ সাবধান হইলেন। কিন্তু ওয়ালেসের মন আর ফরাশিক্ষেত্রে সুস্থির হইল না। স্বর্গাদপি গরীয়সী সেই জন্মভূমি আজ তাহার মনে পড়িল। এতদিন তিনি যেন নিদ্রাভিভূত ছিলেন। এতদিন অভিমান তাহার প্রগাঢ় স্বদেশানুরাগকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছিল। এতদিনে আবার তাহার মােহনিদ্রা ভঙ্গ হইল। দেখিলেন ফ্রনসের জন্য তিনি প্রাণ বিসর্জনেও প্রস্তুত ছিলেন, তথাপি ফানস্ তাহাকে আপনার বলিয়া লইল না। এই জন্য তিনি আপনার ভ্রম বুঝিতে পারিয়া আবার জন্মভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করিতে কৃত-সঙ্কল্প কই. লেন। জন্মভূমি শত্রুচরণদলিত হইতেছে – এই কথা স্মরণ হই যা আবার তাঁহার হৃদয় দগ্ধ হইতে লাগিল। এবার জননীর উদ্ধার সাধন বা শরীর পাতন করিবেন স্থির করিলেন। এইবাব তাহার শেষ শবসাধনা-শেষ আত্মবলি। | ফরাশিরাজ ফিলিপ যখন দেখিলেন যে ওয়ালেস্ স্বদেশে ফিরিয়া যাইতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন, তখন তিনি ওয়ালেকে স্বদেশে পাঠাইয়া দিবার জন্য যে সকল অনুরােধ-পত্ৰ পাইয়াছিলেন, তাহাকে সে সমস্ত পত্র দেখাইলেন। ওয়ালেস আর থাকিতে পারিলেন না। স্বদেশ আবার তাঁহার সেবা গ্রহণে ব্যাকুল হইয়াছেন শুনিয়া, আবার তঁাহার চিত্তশলাকা উত্তরাভিমুখিনী হইল। তিনি রাজার নিকট বিদায় লইয়া একমাত্র বিশ্বস্ত বন্ধু লঙভিল সমভিব্যাহারে স্কটলণ্ডাভিমুখে যাত্রা করিলেন। তাহারা সুইস বন্দরে জাহাজে চড়িলেন; এবং আরল, মাইথ, বন্দরে গিয়া অবতরণ করিলেন। ওয়ালেস, ফকার্ক সময়ের পর ১২৯৮ খ্ৰীষ্টাব্দের শেষে স্কট লণ্ড পরিত্যাগ বার