পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের বাল্য ও যৌবন। ৭ এরূপ দর নিকট নতজানু হওয়া অপেক্ষা যে কোন দণ্ড গ্রহণ করা শ্রেয় মনে করিয়া জ্যেষ্ঠ পুত্রসহ ডম্বাসায়রস্থিত 'লেমক্সদিগের দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। এদিকে তাহার সহধস্মিণী মধ্যম পুত্র ওয়ালেকে লইয়া কিসপিণ্ডিবাসী এক স্বসম্পর্কীয় বৃদ্ধ ক্রফোর্ডের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। কনিষ্ঠ পুত্র জন পূৰ্বেই তথায় প্রেরিত হইয়াছিলেন। ক্ৰকোড ইহাদিগকে বিশেষ যত্নের সহিত নিজের আলয়ে ৰাখিয়া দিলেন। যৎকালে ওয়ালে জননীর সহিত কিলপিণ্ডী নগরে বাস করিতেছিলেন, সেই সময় তিনি চণ্ডীস্থ বিদ্যালয়ে প্রেরিত হন। তৎকালে বিদ্যালয়সকল ধৰ্ম্মাবাসের সহিত সংলগ্ন থাকিত। উচ্চশ্রেণীর বালকেরা ও যাজক-পুত্রেরাই কেবল তথায় পড়িতে পাইত। এই সময় তাহার বয়স আনুমানিক সােড়স বৎসর মাত্র ছিল। তাহাব ভবিষ্য দীক্ষাগুরু ও জীবনচরিত-লেখক জন বেয়ারের সহিত তাহার এই খানেই প্রথম পরিচয় হয়। এই সময় এডওয়ার্ড কটলণ্ডের উপব অতি নিষ্ঠুর আধিপত্য বিস্তার কবেন। তাহার অনিন্ত্রিত সেনা, দুর্গরক্ষিত নগর সকল আক্রমণ কবিয়া তত্তৎ স্থানে অতি ভয়ানক অত্যাচার ও অতি ভীষণ নৃশংসা চার আরম্ভ করিল। সেই নবীন বযসেই ওয়ালেনের হৃদয় এই সকল জাতীয় উৎপীড়নে নিদারুণ ব্যথিত হইল। তিনি করলে কপােল বিন্যাস পূৰ্ব্বক সময়ে সময়ে স্বদেশের ভবিষ্যৎ-ভাবনায় অভিভূত হইয়া পড়িতেন। এরূপ প্রবাদ আছে যে, তিনি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে যথেচ্ছাচারী সৈনিক-বৃন্দের প্রতিকূলে দণ্ডায়মান হইবার জন্য সমপাঠিকগণকে লইয়া একটী ছাত্র সমাজ প্রতিষ্ঠাপিত করেন। পূর্বোক্ত জন বেয়ায়ের ন্যায় সার নীল ক্যাম্পবেলও তাহার সমপাঠী ছিলেন। ওয়ালেস সেই নবীন বয়স হইতেই সৰ্ব্বদা তরবারি ও ছােরাদ্বারা সজ্জিত হইয়া থাকিতেন। কারণ যথেচ্ছা চারী এডওয়ার্ডের সৈনিক-বৃন্দের সহিত এই কিশাের বয়স হইতেই তাহার, সংঘর্ষ আরম্ভ হয় ; ইহারই মধ্যে তাহাদিগের অনেকেই ওয়ালেসেরশা ণিত তরবারির আঘাতে ধূলিসাৎ হয়।