পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। পার্সী ও তাহার নিষ্ঠুর সৈনিকবৃন্দ তৎকালে আয়ার দুগের রক্ষণকার্যে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁহাদিগের কঠোর শাসনে ইহার অধিবাসিবৃন্দ কম্পিত-কলেবর। তৎকালে স্কটদিগের অপেক্ষা আপনাদিগের শারীরিক বলের আধিক্য দেখাইবার জন্য ইংরাজেরা নানা প্রকার অবদান-পরম্পরা দেখাইতেন। সেইদিন একজন প্রকাণ্ডকায় ইংরজি গ্রামীণ বাজারে বসিয়া বলিতেছে “যে আমাকে একটা মুদ্রা প্রদান করিবে, আমি তাহাকে আমার হস্তস্থিত এই বল দ্বারা আমার পৃষ্ঠদেশে তাহার যতদূর শক্তি আঘাত করিতে দিব ; আর আমি যে-কোন স্কটু অপেক্ষা দ্বিগুণ বােঝা বহন করিতে পারি।” ওয়ালেস ইহাতে নিতান্ত কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া তাহাকে বলিলেন ‘তুমি যদি পৃষ্ঠদেশে আমার একটী বজ্রমুষ্টির প্রহাব সহিতে পার, আমি তােমায় তিনটী মুদ্রা প্রদান করিব। ইংরাজ সৈনিক ইহাতে স্বীকৃত হইল। পরক্ষণেই ওয়ালেসের বজ্রমুষ্টি তাহার পৃষ্ঠদেশে যেমন পতিত হইল, অমনিই তাহার পৃষ্ঠদণ্ড দ্বিধা ভগ্ন হইল। সকলে দেখিয়া বিস্মিত হইল, ও সকলেরই নেত্র যুগপৎ ওয়ালেসের উপর পতিত হইল। তৎক্ষণাৎ তিনি অসংখ্য ইংরাজ অশ্বারােহী কর্তৃক পরিবেষ্টিত হইলেন; কিন্তু অমিতবল ওয়ালেস্ পাঁচ ছয় জনকে ধরাশায়ী করিয়া ত্বরিত গতিতে ল্যাংলেন্ অরণ্য মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তথায় বৃক্ষমূলে তাহার অশ্ববর রজ্জ সংযত ছিল। তিনি সেই অশ্বপৃষ্ঠে আরােহণ পূর্বক তাড়িতবেগে অনুসরণকারিদিগের দৃষ্টিপথ অতিক্রম করিয়া নিরাপদে অচিনকভ দুর্গে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কিন্তু ওয়ালেসেব দুর্দমনীয় মন এক স্থানে অধিক দিন স্থির থাকিবার নহে। তিনি আবার কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া আয়ার নগর দেখিতে বহির্গত হইলেন। পথিমধ্যে আয়ারের সেরিফ তদীয় পিতৃব্যের ভৃত্যের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল। সে প্রভুর জন্য মৎস্য ক্রয় করিয়া লইয়া যাইতেছিল। গবর্ণর পাসীর ভাণ্ডারাধ্যক্ষ তাহার নিকট হইতে সেই মৎস্য সমস্তই বলপূর্বক কাড়িয়া লইতে উদ্যত