পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - এ দিকে তাহার অলৌকিক অবদানপরম্পরা, অমানুষ শারীরিক বল, অবিচলিত সহিষ্ণুতা, এবং সর্বোপরি তাহার অদমিত স্বজাতিপ্রেম ও স্বদেশানুরাগের-যশ সর্বত্র প্রস্ত হওয়ায়, অসংখ্য বীরবৃন্দ আসিয়া তাহার অধিনায়কত্ব স্বীকার করিলেন। বস্তুতঃ এডওয়ার্ডের দুর্ব ও সৈনিকগণের অসহ্য অত্যাচারে, ও তদীয় পিতৃ-ভ্রাতৃ-বধে ওয়ালেসের অন্তরে স্বজাতিপ্রেম ও স্বদেশানুরাগের ভাব এতদূর প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিয়াছিল যে, যত দিন শত্রু-নির্যাতন না হইতেছে তত দিন এ জীবন তাহার নিকট দুৰ্বিষহ বলিয়া বােধ হইতে লাগিল। তিনি অন্তর্নিহিত ক্রোধানলে আপনিই দগ্ধ হইতে লাগিলেন। স্বজাতির চরণে প্রাণ উৎসর্গ করিয়াছিলেন বলিয়াই—এবং সেই উৎসর্গীকৃত প্রাণ স্বজাতিব উদ্ধারব্ৰতে ব্যয় করিবেন স্থির করিয়াছিলেন বলিয়াই-ওয়ালেস অমর হইয়া উঠিলেন। সেই জন্যই তিনি একাকী লক্ষ লােকের বল ধাবণ করিতেন। সেই অমিতবলশালী স্বদেশানুরাগােন্মত্ত দৈব-শক্তিসম্পন্ন ওয়ালেসের পতাকামূলে ক্রমে কতিপয় স্বজাতি-প্রেমিক আসিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। সেই স্বর্গীয় দল লইয়া দেবােপম ওয়ালে বিপক্ষদিগের বিরুদ্ধে একপ্রকার বিশৃঙ্খল গেরিলা যুদ্ধ আৰম্ভ কবিলেন । আয়ারের দুর্ঘটনার পর ওয়ালে রিকার্টনে আসিয়া জননীর সহিত বাস করিতেছিলেন। এই সময় উক্ত বীরবৃন্দ আসিয়া তাহার সহিত মিলিত হন। তাহার মধ্যে সা রিচার্ডের তিন পুত্ৰ এডাম, রিচার্ড, ও সাইম, এবং রবার্ট বয়েজ ও নেলা,-এই কয়জন বিশেষ উল্লেখযােগ্য। ওয়ালে জননীর নিকট বিদায় লইয়া রিকার্টন পরিত্যাগ পূর্বক এই কয়জন মাত্র সহচর সহ সুবিখ্যাত রণক্ষেত্র ম্যাকলিন মুরাভিমুখে যাত্রা করিলেন। | এদুিকে ১২৯৬ খ্রীষ্টাব্দের নিদাঘকাল সমাগত। প্রকৃতি চতুর্দিকে সেন জাস্য বিস্তার করিতেছেন। এক দিকে স্কটলণ্ডের অধিবাসিবৃন্দ দুর্ভিক্ষের জ্বালায় অস্থির, অন্য দিকে পৰ্যাপ্তভােজী ও অপরিমিতপায়ী এওয়ার্ডের সৈন্যগণের বিলাসােদ। এ দৃশ্যে জাতীয় দলের হৃদয় নিদারুণ ব্যথিত হইল। প্রতিহিংসাবৃত্তি ওয়ালেসের হৃদয়ে প্রবলতর