পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়া নগরের যুদ্ধ কাণ্ড। ২৫ “ওহে, বৰ্মধর! তােমার যত বিদ্যা অর্থেই বুঝা গিয়াছে।” এই বিজ্রপ-বাক্য ওয়ালেসের অসহ্য বােধ হইল। তিনি তদীয় করাল অসি এরূপ প্রচণ্ডবেগে তাহার মস্তকের মধ্যভাগে প্রক্ষেপ করিলেন যে তাহা তাহার মস্তক দ্বিধাবিভক্ত করিয়া গ্রীবাদেশে আসিয়া পড়িল। ওয়ালেস অকুতােভয়ে ধীর পাদবিক্ষেপে আপন দলের ভিতরে আসিলেন। ষােলজন মাত্র সহচর তাহার সহিত আসিয়াছিল। অনতিবিলম্বেই সপ্ত-গুণিত বিশ জন অস্ত্রধারী পুরুষ আসিয়া তাহাদিগকে ঘিরিয়া ফেলিল। উভয় দলে তুমুল সংগ্রাম উপস্থিত হইল। যদিও ওয়ালেসের দলে বড় অধিক লােক ছিল না, তথাপি যে কয়জন ছিল সকলেই সবিশেষ পরীক্ষিত, ও অস্ত্র শস্ত্রের প্রয়ােগে সুঅভ্যস্ত। সুতরাং ভঁহাদিগের শাণিত খঘাতে অনেক ইংরাজকেই ধূলি চুম্বন করিতে হইল। পরাজিত ইংরাজ সৈনিকগণের সাহায্যার্থ অচিরে দুর্গ হইতে এক দল সেনা আসিয়া উপস্থিত হইল। ওয়ালেস তথায় আর থাকা উচিত বিবেচনা না করিয়া তথা হইতে সদলে প্রস্থান করিলেন। নবাধিক বিংশতি জন ইংরাজকে ধরাশায়ী করিয়া সেই ক্ষুদ্র বীর দল আপন আপন অশ্বে আরােহণ করিয়া আত্মরক্ষাৰ্থ ল্যাঙলেন অরণ্যের অভিমুখে যাত্রা করিলেন । | সকলেই অনুমান করিল যে ইনিই সেই কুহকী ওয়ালেস্। অন্যথা আর কে এত অল্পসংখ্যক অনুযাত্রিক লইয়া এরূপ অমানুষ কাৰ্য করিতে সক্ষম হন ? এই যুদ্ধে যদিও পাব্দীর স্বসম্পর্কীয় তিন জন লােক হত হয়, তথাপি আপনারাই ইহার উত্তেজক বলিয়া, পার্সী ওয়ালেসের উপর সন্ধি-ভঙ্গের দোষারােপ করিতে পারিলেন না। তিনি সার রেণাকে এই মর্মে পত্র লিখিলেন যে—“তুমি ওয়ালেসকে কোন প্রকাশ্য বাজারে বা মেলায় উপস্থিত হইতে বারণ করিবে। কারণ সে সকল স্থলে তিনিউপস্থিত হইলে উভয় দলে এইরূপ বিবাদ হইবার সম্ভাবনা।” এইপত্র পাইয়া রেণা করবী যাত্রা করিলেন, কারণ ওয়ালে,তখন ল্যাঙলেন অরণ্য হইতে আসিয়া তথায় বাস করিতেহলেন। তথায় আসিয়া তিনি ওয়ালেসকে পার্সীর পত্র দেখাইলেন।