পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯ ওয়ালেস্ প্রণয়ী। সাধন না করিয়া যিনি কোন প্রকার পার্থিব সুখ ভােগ করিব না বলিয়া গৃহীতব্রত হইয়াছিলেন, আজ তিনি প্রেমের বেগ সম্বরণ করিতে পারিলেন না। তিনি জাতীয ব্ৰতের সহিত বিসম্বাদী বলিয়া হৃদয়কে এ বেগ সম্বরণ করিতে অনুবােধ করিলেন, কিন্তু হৃদয় সে অনুরােধে কর্ণপাত করিল না। ল্যানার্ক সায়ারের কোন অলৌকিক রূপলাবণ্যবতী হৃদয়-লােভনীয় সম্ভ্রান্তবংশােদ্ভবা কোমল-প্রকৃতি মহিল। তাহার এই আকস্মিক চিত-বিকারের মূল। লানার্ক সায়াবে ল্যামি ওট নামে একটী নগর আছে। তথায় হিউগ ব্ৰক্ট নামে এক জন সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। এই রমণী তাহাবই দুহিতা, বালিকা বয়সেই পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃ বিয়ােগ নিবন্ধন ইনি অতুল সম্পত্তিব অধিকারিণী হইয়াছিলেন। হেসিবীগের হস্তেই ইহার একমাত্র ভ্রাতাব মৃত্যু হয়। অহয়া বালিকাকে আশ্রয দান করার নিক য়-স্বরূপ হেসিখীগ এই রমণীর নিকট হইতে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন। এরূপ জনরব যে, হেসিল্ৰীগ সেই বিপুল সম্পতিব অধিকারিণীর সহিত নিজ জ্যেষ্ঠ পুত্রের বিবাহ দিবেন, স্থির করিয়াছিলেন। রমণী উপায়ান্তব না দেখিষা ওয়ালেসের শরণাপন্ন হইলেন। তিনি নিজ দাসী দ্বারা ওয়ালেকে এই কথা বলিয়া পাঠাইলেন। দাসী ওলেকে সঙ্গে করিযা গুপ্তভাবে উদ্যান-মধ্যস্থ খিড় কি-ধার দিয়া রমণীর গৃহে লইয়া গেলেন। তাহার সমুচিত আতিথ্য সৎকারের নিমিত্ত বিবিধ খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত হইল। যুবক যুবতী প্রথম দর্শনেই পরস্পরের প্রতি প্রেমাসক্ত হইলেন। তাহার বিভোৰ হইযা বিবিধ প্রেমালাপে নিমগ্ন হইলেন। যুবতী বলিলেন “আমি আজ হইতে আপনার চরণে আত্মসমর্পণ কৰিলাম ; জলে স্থলে, বনে জঙ্গলে, রণক্ষেত্রে বা শান্তিনিকেতনে—আপনি যখন যেখানে থাকিবেন, দাসী ছায়াব ন্যায় আপনার অনুগামিনী হইবে; প্রতিজ্ঞা করিলাম, আপনি ভিন্ন আর কোন পুরুষের পত্নী হইব না ; এক্ষণে প্রার্থনা—আপনি দাসীকে গ্রহণ করুন।” ওয়ালেসের হৃদয় রমণীর প্রেমে বিগলিত হইল বটে, কিন্তু তিনি আপাততঃ বিবাহে সম্মত হইলেন না। তিনি বলিলেন,