পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७० ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। অন্তর্হিত হইতে হইল। ওয়ালে সদলে প্রিয়তমার গৃহাভিমুখে ধাবিত হইলেন। ইংরাজের তাহাদিগের অনুসরণ করিল। ওয়ালেস-পত্নী, পতি ও তাহার সহচরবৃন্দের বিপৎ দেখিয়া সিংহদ্বার উদঘাটিত করিতে আদেশ করিলেন। টের সিংহদ্বার দিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিল। যতক্ষণ সমস্ত স্কটসেনা খিড়কী দ্বারা কোন নিরাপদ স্থানে না পৌছিল, ততক্ষণ ওয়ালেস ও গ্ৰেহা দুই জনে অদ্ভুত বীরত্বের সহিত সিংহদ্বার রক্ষা করিতে লাগিলেন। এদিকে স্কটের কাটলে ক্রেগ (Cartlane craigs) নামক গুহায় গিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিল। এই গুহা অদ্যাপি ওয়ালেস হা নামে অভিহিত হইয়া থাকে। অনুযাত্রিকগণ নিরাপদ স্থানে গিয়া পৌছিয়াছে শুনিয়া ওয়ালে ও গ্ৰেহাম্ সিংহদ্বার পবিত্যাগ পূর্বক সেই স্থানের উদ্দেশে গমন কবিলেন। | প্রণয় রমণীকে দেবতা করিয়া তুলে। প্রণয় তাহাকে আত্ম ভুলিতে শিক্ষা দেয়। পতির আসন্ন বিপদ দেখিয়া নিজের ভবিষ্যৎ না ভাবিয়া ওয়ালেস্-পত্নী পতিব ৰক্ষাৰ্থ নিজ প্রাসাদের সিংহদ্বার খুলিয়া দেন। পতি ও তৎসহচর বৃন্দকে তিনি খিড়কী দ্বাব দিয়া পলায়ন করিয়া আত্মরক্ষা করিতে উপদেশ দেন। স্বদেশের উদ্ধারসাধন করিবেন, প্রাণাধিক প্রিয়তমাকে সুখিনী কবিবেন এই আশায় আজ ওয়ালেসপত্নীর উপদেশ রক্ষা করিলেন। তাহারা চলিয়া গেলে প্রিয়তমা কি হইবে, এ ভাবনা তাহার মনে উদিত হইল না। তিনি স্বয়ং শত্ৰুপত্নীগণের প্রতি যেরূপ বীবোচিত সদ্ব্যবহার করিয়া থাকেন, বােধ হয়, তিনি ভাবিয়াছিলেন, ইংরাজ-সেনাপতিও তদীয় পত্নীর প্রতি সেই রূপ সদ্ব্যবহার করিবেন। কিন্তু তাহার সে আশা বিফল হইল। সতী ওয়ালে-পত্নী পতির প্রাণরক্ষার অপরাধে পিশাচ হৃদয় ইংরাজ-সেনাপতির আদেশে ধৃত ও তৎক্ষণাৎ শাণিত তরবারি-অগ্রে নিক্ষিপ্ত হইলেন। ওয়ালেসের জীবন-গ্রন্থি ছিন্ন করিয়া সতী প্রাণত্যাগ করিতেন বটে, কিন্তু তাহার আত্মােৎসর্গের জলন্ত দৃষ্টান্ত চিরকাল ধরিয়া স্কট রমণীদিগের উদ্দীপনাস্থল হইয়া রহিল। পত্নীর হত্যা-সংবাদ তদীয় একান্তানুগতা এক দাসী কর্তৃক ওয়া