পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮০ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। স্কটলণ্ডের গবর্ণর-পদে অভিষিক্ত হওয়ার পর সেনাবিভাগে ওয়ালে সের সৰ্ব্বপ্রথম ও বিশেষ দৃষ্টি পড়িল। গ্রন্থের প্রারম্ভেই উল্লেখ করা হইয়াছে যে, সামন্ততন্ত্রে রাজারও সৰ্বাঙ্গীণ সহায়তা পাওয়া দুর্ঘট হইত। সামন্তবর্গের ঈর্ষা ও অহঙ্কারের কুফল ওয়ালেন পূর্বেই ভােগ করিয়াছিলেন। সুতরাং তিনি বিপৎ উপস্থিত হইলে তাহাদিগের নিকট হইতে কোনও সাহায্যের আশা করেন নাই। কৃষক ও দাসগণের স্বার্থ সামন্তবর্গের স্বার্থের সহিত সেরূপ জড়িত ছিল, তাতে তাহাদিগের নিকট হইতেও কোন প্রকার সাহায্যের আশা ছিল না। সুতরাং ওয়ালেস্ স্থায়ী সৈন্য সংস্থাপনে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। কিন্তু সম্পূর্ণ নূতন প্রণালী অবলম্বন করিলে পাছে সামন্তবর্গের কোপানলে পতিত হন, এই জন্য তিনি প্রথমে মধ্য পথ অবসম্বন করিলেন। বেতনভােগী স্থায়ী সৈন্য সংস্থাপিত না করিয়া তিনি আধুনিক মিলিসিয়াৱ (অস্থায়ী সৈন্য) সূত্রপাত করিলেন। তিনি সমস্ত স্কটলগুকে কয়েকটী জেলায় বিভক্ত করিলেন। ষােল ও ষাইট বৎসরের মধ্যে যাহাদিগের বয়স—তিনি তাহাদিগের মধ্যে যাহারা অস্ত্রগ্রহণক্ষমতাহাদিগের একটা তালিকা গ্রহণ করিলেন। এই অস্থায়ী সৈন্য মধ্যে তিনি এক প্রকার নুতন শৃঙ্খলা স্থাপন করিলেন । প্রত্যেক চাবি জনের উপর পঞ্চম, প্রত্যেক নয় জনের উপর দশম, প্রত্যেক উনিশ জনের উপর বিংশ, এইরূপ ক্রুমে উঠিয়া প্রত্যেক একোন-সহস্রের উপর সহস্রতম ব্যক্তিকে সেনাপতি নিযুক্ত করিলেন। তাহার আদেশ যাহাতে প্রতিপালিত হয়, তজ্জন্য প্রতি পল্লীতে একটী করিয়া ফাশী কাষ্ঠ বিলম্বিত হইল। যে ভীরু কাপুরুষ স্বদেশের রক্ষার নিমিত্ত আহূত হইয়াও অগ্রহণে পরায়ূখ হইত, দৃষ্টান্ত দ্বারা অপরের অবাধ্যতা নিবারণ করিবার নিমিত্ত,, তাহাকে ফাশিকাষ্ঠে ঝুলাইয়া দেওয়া হইত। যে সকল সামন্ত আপন আপন প্রজাবৰ্গকে দেশহিতৈষি দলে প্রবিষ্ট হইতে বাধা দিতেন, তাহাদিগকে কারাগাবে নিক্ষিপ্ত বা তাহাদিগেব সম্পত্তি জাতীয়-কোষ-সাৎ করা হইত। এইরূপে তাহার অস্থায়ী সৈন্য সংগৃহীত হইল। ইহা