পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৪ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। দলিত করিল। অগ্নি প্রদান করিয়া তাহারা ডহাম নগরকে ভস্মস্ত পে পরিণত করিল। ইয়র্ক সায়ারেরও সেই দুর্দশা ঘটিল। প্রতিহিংসা প্রদীপ্ত সেই সেনা যেখানে যাইতে লাগিল, সেই খানেই অসি ও অগ্নি বিস্তার করিতে লাগিল। পােনর দিনের মধ্যেই এডওয়ার্ডের দূত আসিয়া ওয়ালেসের নিকট চল্লিশ দিনের শান্তি ভিক্ষা করিল, বলিল ‘ইহার পরই এডওয়ার্ড রণক্ষেত্রে ওয়ালেসের সম্মুখীন হইবেন। ঝুট লণ্ডের অদৃষ্টনায়ক এই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন, এবং ইয়র্ক নগরে এক দিন অবস্থিতি করিয়া তিনি সসৈন্য নালারটন নগরাভিমুখে যাত্রা করিলেন, এবং তথায় উপস্থিত হইয়া শিবির সন্নিবেশ করিলেন। চল্লিশ দিনের সন্ধি সৰ্বত্ৰ উদেঘাষিত হইল, এবং ওয়ালেস লুণ্ঠিত দ্রব্য সকল ক্রয় করিবার জন্য সকলকেই আহ্বান করিলেন। এদিকে বিশ্বাসঘাতক এডওয়ার্ড সন্ধির নিয়ম ভঙ্গ কবিয়া সন্ধির ভিতরই অতর্কিতভাবে ওয়ালেকে আক্রমণ করিবার জন্য অসংখ্য সন্য সৈহ ওয়ালটন নগরের কাপ্তেন সা রালফ রেমন্টকে পাঠাইয়া দিলেন। ওয়াল্টন নগরের অদূরে কতকগুলি স্কচমেন বাস করিত। তাহারা এই সংবাদ স্কটিশ শিবিরে লইয়া গেল। ওয়ালেস্ এই সংবাদ পাইবামাত্র হিউ ও লুণ্ডিনের ও রিচার্ডের অধিনেতৃত্বে তিন হাজার সৈন্য পাঠাইলেন। আদেশ করিলেন যে, তাহারা যেন পথিমধ্যে লুক্কায়িতভাবে থাকিয়া আক্রমণকারী ইংরাজ সৈন্যকে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে। সা রাল্ফ রেমও সাত হাজার সৈন্য লইয়া আসিতেছিলেন, সহসা তিন সহস্র স্কচ, সৈন্য প্রচণ্ড বেগে ও ভীষণ রবে তাহাকে আক্রমণ করিল । তাহাদের প্রচণ্ড অসি-প্রপাতে নিমেষ মধ্যে তিন সহস্র ইংরাজসৈন্য ভূপতিত হইল—অবশিষ্টেরা ভয়ে কে কোথায় পলায়ন করিল তাহার স্থিরতা রহিল । সেনাপতি সার রাফ স্বয়ং রণে হত হইলেন। ওয়ালে অনতিবিলম্বেই সসৈন্য সেই পলায়মান ইংরাজ সেনার পশ্চাদগামী হইয়া ম্যাটন নগরে প্রবেশ করিলেন, এবং তথায় অসংখ্য শত্ৰুনিপাত করিয়া নগর লুণ্ঠন করিলেন। তিনি দুই দিবস তথায় থাকিয়া নগর