পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৮ ওয়ালেসের জবীনবৃত্ত। কর্তৃক পরিক্ষিত ছিল। স্কুটেরা চারিভাগে বিভক্ত হইয়া চারি স্থানে এই দুর্গ আক্রমণ করিল। সেই আক্রমণকারী সৈন্যের সহিত চারি সহস্র তিরোজ ছিল । এদিকে নগর-মধ্যেও চারি হাজার ধনুর্ধর ও বার হাজার অপর সৈন্য ছিল। সুতরাং তাহারা সবিশেষ কৃতকাৰ্য্যতার সহিত স্কচগণের আক্রমণ প্রতিহত করি। স্কটেরা ভয়ে নগর পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক পলায়ন করিল। এদিকে রজনী উপস্থিত হইল। স্কটের সমস্ত রাত্রি নগরের বাহিরে ছাউনী করিয়া রহিল। সমম্ভ রাত্রি মশাল জালিয়া তাহারা শত্রুগণের গতিবিধি পৰ্যবেক্ষণ করিতেছিল। যদিও তাহাদিগের মধ্যে অনেকেই আহত হইয়াছিল, তথাপি তাহাদিগের এক জনও রণে হত হয় নাই। এই জন্য স্কটের হারিয়াও ভগ্নোৎসাহ হয় নাই। | পর দিন সূৰ্যোদয়ে স্কুটেরা নবীন উৎসাহে পূৰ্ব্বদিনের ন্যায় শ্রেণীবদ্ধ হইয়া নগর আক্রমণ করিল। এ দিবসও তাহারা অগ্নি প্রক্ষেপ করিয়া ও অন্যান্য নানা প্রকারে নগরের সবিশেষ ক্ষতি করিল, কিন্তু নগরের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিল না। আবার রজনী আলিল, আবার স্কটেরা নগর-প্রকারের বাহিরে শিবির সন্নি ম শ করিল। সকলে বিশ্রাম করিতে লাগিল, কিন্তু ওয়ালেসের নিদ্ৰা নাই। তিনি অশ্বপৃষ্ঠে আরােহণ করিয়া শিবিরের চতুর্দিকে প্রহরীরা পাহারা দিতেছে কি না পৰ্যবেক্ষণ করিয়া বেড়াইতেছেন এমন সময়ে সহসা অদূরে শত্রুসেনা দেখিতে পাইলেন। সাক্ জন্ নট ও সা উইলিয়ম শী পাঁচ হাজার সৈন্য লইয়া অতর্কিতভাবে তাহাদিগকে আক্রমণ করিবে, এই মানসে স্কটিশ শিবিরাভিমুখে আসিতেছিল দেখিবামাত্র ওয়ালেস্ তাহার শৃঙ্গ বাজাইলেন, অমনি তাহার সদা-প্রস্তুত সৈন্যের উঠিয়া দাঁড়াইয়া অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হইল। শত্রুগণ নগর-প্রাকার হইতে বাহির হইয়াই সর্বপ্রথমে আর ম্যালকমের সম্মুখীন হইল? ওয়ালেস্ তাহাকে হঠকারী বলিয়া জানিতেন, এই জন্য স্বয়ং রণ-মধ্যে উপস্থিত হইলেন। তাহারা দুই জনে অসংখ্য শত্রুসৈন্যকে ভুপাতিত করিতে লাগিলেন।