পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের ফান্স-যাত্রা। ৯১ এ সংবাদ প্রচারিত হইলে, পাছে বিশ্বাসঘাতক এওয়ার্ড সন্ধৰি নিয়ম ভঙ্গ করিয়া স্কটলণ্ড আক্রমণ করেন, অথবা তাহার রণতরি পাঠাইয়া তাহাদিগকে ধৃত করিতে চেষ্টা করেন। অনুকূল বায়ু ভরে স্ফীত বক্ষ হইয়া জাহাজের পাসগুলি যেন ছুটিতে লাগিল। এক দিন এক রাত্রি এইরূপে অতিবাহিত হইল, এমন সময় দূর হইতে ষােল খানি জাহাজ প্রবলবেগে তাহাদিগের দিকে আসিতেছে, পরিদৃষ্ট হইল। ওয়ালেস্ তৎক্ষণাৎ তাহার সঙ্গিগণকে রণসজ্জায় সজ্জিত হইতে আদেশ করিলেন। এই জাহাজ গুলি ফ্রান্সের অন্তর্গত লঙভিল নগরের টমাস নামক এক ব্যক্তির জাহাজ। টমাস কোন সম্রান্ত ব্যক্তির প্রাণনাশ করায় ফ্রান্স হইতে নিৰ্বাসিত হইয়াছিল। সেই অবধি সে সামুদ্রিক দ্য বৃত্তি আরম্ভ করিয়াছিল। ওয়ালেকেও নিজ কবলস্থ করিবে মনে করিয়াছিল। কিন্তু তাহা ঘটিল না। টমাস্ এই নূতন জীবনে নুতন নাম করিয়াছিল। সামুদ্রিক যাত্রীরা তাহাকে লােহিত রীভার নামে জানিত। লােহিত রীভার সবেগে জাহাজ চালাইয়া ওয়ালেসের জাহাজের পার্শ্বে আসিয়া উপস্থিত হইল। জাহাজ যেমন পার্শ্বে আসিয়া দাঁড়াইল, অমনি রিভার এক লক্ষে ওয়ালেসের জাহাজের উপর গিয়া পড়িল। ওয়ালেস দাড়াইয়া এই আক্রমণ প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, সুতরাং রীভার যেমন লম্ফ দিয়া পড়িল, অমনি তিনি তাহার গলদেশ ধরিয়া তাহাকে সবেগে এরূপ এক ধাক্কা মারিলেন যে, তাহার মুখ ও নাসিকা দিয়া বল বল করিয়া রক্ত বাহির হইতে লাগিল। দেখিতে দেখিতে রীতারের মােল খানি জাহাজ আসিয়া ওয়ালেসের জাহাজকে ঘিরিয়া ফেলিবার উপক্ৰম করিল। কিন্তু ওয়ালেসের পােতাধ্যক্ষ ক্রফোর্ড তৎক্ষণাৎ পাল ছাড়িয়া তাহাদিগকে দুরে ফেলিয়া চলিয়া গেল। সুতরাং রীভার এক্ষণে অনন্যোপায় হইয়া ওয়ালেসের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিল। ওয়ালে ক্ষমা করিলেন বটে, কিন্তু তাহার হস্তে যে অসি ও ছুরিকা.